গাবুরার মাদক সম্রাট নুরীর নেতৃত্বে ১০জনকে পিটিয়ে জখম
গাবুরার কুখ্যাত মাদক সম্রাট, একাধিক অস্ত্র মামলার আসামী নুরীর নেতৃত্বে মহিলাসহ অন্তত ১০জন কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাবুরা স্লুইস গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, গাবুরা নাপিতখালী এলাকার মুল্লুক চাঁন সরদারের এর ছেলে জিয়া, চাদনীমুখা এলাকার আমিনের জামাতা হাবিবুর রহমান, রমজানের ছেলে রাজাকুল, মোকছেদ সরদারের ছেলে ফারুক সরদার, হোসেন গাইনের ছেলে ওলিদ গাইন, রবিউল দোকানদারের স্ত্রী সাজিদা ও কালামের স্ত্রী রহিমাসহ ১০জন।
আহতরা জানান, সম্প্রতি গাবুরা এলাকার ২টি মেয়েকে পাচারের সহযোগিতায় কারী আমিনুর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরেই আমিনুর মাদক সম্রাট নুরী ও রহিম মেম্বরের নেতৃত্বে তাকে আটকে সহযোগিতা কারীদের হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে ইফতারের কিছু পূর্বে গাবুরা নাপিতখালী এলাকার মুল্লুক চাঁন সরদারের এর ছেলে জিয়া, চাদনীমুখা এলাকার আমিনের জামাতা হাবিবুর রহমান, রমজানের ছেলে রাজাকুলসহ কয়েকজন ব্যক্তি সুইজ গেটের পাশে বেঞ্চে এলাকায় বসে ছিলেন। তারা সেখানে বসে ইফতারির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সে সময় একাধিক মামলার আসামী রহিম মেম্বরের নির্দেশে মাদক সম্রাট নূর ওরফে নুরী বাহিনীর নেতৃত্বে আমিনুর, সুরাত জামাল, জাহাঙ্গীর, মঞ্জুর, আবিয়ার,নূরে আলম, আল আমিন, আলতাফসহ তার বাহিনীর সদস্যরা স্লুইস গেটে বসে থাকা জিয়া, হাবিবুর রহমান, রাজাকুলদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে থাকা দা, কুড়াল, বল্লব, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। তাদের ডাক চিৎকারে রবিউল দোকানদারের স্ত্রী সাজিদা ছুটে আসলে তাদেরও বেধড়ক মারপিট গুরুতর আহত করে।
এছাড়া কাপড় চোপড় টানা টানি করে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। এসময় তাদের হামলায় মুল্লুক চাঁন সরদারের এর ছেলে জিয়া, চাদনীমুখা এলাকার আমিনের জামাতা হাবিবুর রহমান, রমজানের ছেলে রাজাকুল, মোকছেদ সরদারের ছেলে ফারুক সরদার, হোসেন গাইনের ছেলে ওলিদ গাইনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে জিয়া, হাবিবুর ও সাজিদা গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে আহতরা শ্যামনগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিল হোসেন জানান, গাবুরা এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি শুনে আমি পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।