সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধ মামলার পলাতক আসামি জহিরুল ওরফে ‘টেক্কা’র মৃত্যু
পলাতক অবস্থায় সাতক্ষীরার অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা খান (৬৭) মারা গেছে।
একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদারদের পক্ষে নৃশংসতার কারণে জহিরুল ইসলাম সবার কাছে সাতক্ষীরার ‘টিক্কা খান’ নামে কুখ্যাত। একাত্তরের এই কসাইয়ের মৃতদেহ গতকাল রোববার দিবাগত রাত (আজ সোমবার) ৩ টার দিকে তার গ্রামের বাড়ি বৈকারীতে আনা হয়েছে। তবে এত দিন তিনি কোথায় পালিয়ে ছিল তা জানা যায়নি। অনেকের ধারণা তিনি ভারতে পালিয়ে ছিলেন। জহিরুলের বাড়ির আঙিনা পার হলেই নদী পেরিয়ে ভারতের সীমানা শুরু।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাতক্ষীরার ৪ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলীপুরের আব্দুল্লাহিল বাকী, জামাতের সাবেক এমপি বৈকারীর আব্দুল খালেক ম-ল, পলাশপোল নবজীবন এনজিওর সাবেক নির্বাহী পরিচালক খান রোকনুজ্জামান ও বৈকারীর জহিরুল ইসলাম ওরফে ‘টিক্কা’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ গত ৬ মে ২০১৯ তারিখে শেষ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রোকন এবং জহিরুল শুরু থেকেই পলাতক।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ০৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ০৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।