বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কানাডার সমান: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কানাডা ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কানাডা ও থাইল্যান্ডের সমান।
অর্থমন্ত্রী গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এরপরই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির উৎস সম্পর্কে দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাজ তারা করবে, আমাদের কাজ আমরা করব। আমি ব্যাখ্যা দিতে চাই। কোথাও গোলটেবিল আয়োজন করুক, আমি সব প্রশ্নের জবাব দেব।’ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। ২০টি দেশের প্রবৃদ্ধিই এর চালিকাশক্তি। সেই ২০টি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, বাংলাদেশ হলো চমকপ্রদ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দেশ। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি সবাই বলবে, তারা (গবেষণা প্রতিষ্ঠান) শুধু বলবে না।
দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যত দিন তারা সরকারের কাছ থেকে কাজ পাবে, তত দিন ঠিক আছে। কাজ না পেলে সম্পর্ক নষ্ট। আমি তাদের সবাইকে চিনি। তবে অর্থনীতিতে তাদের অবদান আছে। তারা যদি ভুল ধরিয়ে না দেয়, তাহলে আমরা এগোব কীভাবে?’ তাঁর মতে, সরকারি কাজেও দুর্বলতা আছে। কাজ হয়, কিন্তু মানসম্পন্ন হয় না। সময়মতো কাজ শেষ হয় না। এসব ব্যাপারে গণমাধ্যম অনেক বেশি সচেষ্ট।
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ হবে বলে সাময়িক প্রাক্কলন করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধির উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে দেশের অন্যতম বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।
কর-জিডিপি অনুপাত বাংলাদেশে সবচেয়ে কম—গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের এই মূল্যায়ন সঠিক। কর-জিডিপি অনুপাত কম। এই অনুপাত কম হলেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে না। কেননা এ দেশে অনানুষ্ঠানিক খাতের প্রাধান্য বেশি।
নতুন ভ্যাট আইন
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা যেভাবে চাচ্ছেন, সেভাবেই নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইন হচ্ছে। প্রথমে একক হারে ভ্যাট ছিল, ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি হারে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন ভ্যাট নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই।