দেবহাটায় যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্যাতন!
দেবহাটায় যৌতুকের দাবীতে বিলকিস পারভীন (২৮) নামের এক গৃহবধুকে স্বামী, শ্বাশুড়ী, ভাসুর, ননদ সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কতৃক অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি দাবীকৃত যৌতুক না দেয়ায় বর্তমানে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন গৃহবধু বিলকিসকে ডিভোর্স দিতেও মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও জানা গেছে অভিযোগে। ভুক্তভোগী গৃহবধু বিলকিস উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের অমেদ আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের মৃত ফজর আলী বদ্দির ছেলে হামিদুল বদ্দির স্ত্রী। মারপিট আর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধু বিলকিস ৬ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে বর্তমানে তার পিতার বাড়ীতে অবস্থান করছে। যৌতুকের দাবীতে ওই গৃহবধুকে মারপিট ও নির্যাতনের বিষয়ে বহুবার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বর সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে শালিস মীমাংসা হলেও, প্রতিবারই কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো নির্যাতনে মেতে ওঠে যৌতুক লোভীরা। গৃহবধু বিলকিস জানায়, ৭ বছর আগে হামিদুল বদ্দির সাথে বিয়ে হয় তার। বর্তমানে হীরামনি নামের ৬ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বিয়ের পর থেকে তার পিতার কাছে বিভিন্ন সময়ে নগদ টাকা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র যৌতুক হিসেবে দাবী করে আসছে তার শ্বাশুড়ী, স্বামী হামিদুল বদ্দি, ভাসুর ভুমিদস্য ও একাধিক মামলার আসামী শফিকুল বদ্দি, ননদ খাদিজা, শাহিদা সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে দাবীকৃত যৌতুক আদায় করতে গৃহবধু বিলকিসের ওপর অমানুসিক শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনও চালিয়ে আসছিলো তারা। বিষয়টি নিয়ে বহুবার শালিস মীমাংসা হলেও তাতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন এসব যৌতুক লোভীদের। এমনকি গৃহবধু বিলকিসকে একবার বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় তারা। সম্প্রতি কিছুদিন আগে আবারো যৌতুকের টাকা দাবী করে এসব যৌতুক লোভীরা অমানুসিক নির্যাতন ও মারপিট করতে থাকে গৃহবধু বিলকিসকে। এসময় খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশরা তাকে উদ্ধার করে তার পিতার বাড়ীতে পৌছে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আবারো নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠকের দিন ধার্য্য করা হলে গৃহবধু বিলকিসকে ডিভোর্স দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তার স্বামী হামিদুল বদ্দি,ভাসুর শফিকুল বদ্দি সহ শ্বশুর বাড়ীর অন্যান্যরা। এঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু বিলকিসের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।