ইটের সাথে মাটি মিশিয়ে সড়ক নির্মাণ
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সোনার হাট-মনরতল সড়কে বালুর পরিবর্তে মাটি মিশিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক। বিষয়টি স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়- উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সোনার হাট উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক পশ্চিমে সোনার হাট-মনরতল সড়কে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ ৫৮০ মিটার ও সোনিয়া এন্টারপ্রাইজ ৫০০ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ পান। ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এস.ডি.আই.আর.আই.আই.পি প্রকল্পের আওতায় ৪১ লাখ টাকায় এ নির্মাণ কাজটি গ্রহণ করেন। কাজটি শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এবং চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
অপরদিকে সোনিয়া এন্টারপ্রাইজ আই.আর.আই.ডি.পি-২ প্রকল্পের আওতায় ৫০০ মিটার সড়ক ৩৩ লাখ টাকায় গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সড়কের কাজ শুরু হয়ে আগামী আগস্টে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু নির্মাণাধীন ওই সড়কে নানা অনিয়ম করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান- নির্মাণাধীন ওই সড়কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালুর পরিবর্তে মাটি মিশিয়ে ইটের সাথে কাজ করছেন। ইটের কোয়া গুলির সাইজ অনেক মোটা। বক্সের গভীরতা অনেক কম রয়েছে। বক্সের নিচে বালু দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে মাটি। ফলে বৃষ্টির পানির সাথে মাটি সরে গেলে ইটের কোয়া গুলি মতো ভেসে বেড়াচ্ছে। অনেক স্থানে ইটের কোয়া থাকা অবস্থায় সড়কে এক ফুট পরিমাণে কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে জনদূর্ভোগ।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আলমসহ উপস্থিত কয়েকজন উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বশীলদের সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী রাসেন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন- নির্মাণাধীন সোনার হাট-মনরতল সড়কটি আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। বালুর পরিবর্তে ইটের সাথে মাটি মিশিয়ে কাজের কোন খবর আমরা পাইনি। যদি এ বিষয়ে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।