ঈদে ‘সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস’ কেনাকাটা
দোকানে ঢুকেই ‘সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস’ পোশাক দেখাতে বলেন ক্রেতারা। তাই এবারের ঈদে বেশির ভাগ ফ্যাশন হাউজেই থাকছে সাদামাটার মধ্যে নজরকাড়া ডিজাইনের জামা-কাপড়।
ফুল ফুটেছে ছেলেদের পোশাকে
এবার ঈদের সময় আবহাওয়া থাকবে উষ্ণ। তাই ফ্যাশন সচেতন সব তরুণই একেবারে আঁটসাঁট নয়, একটু ঢিলেঢালা ও আধুনিক ডিজাইনের পোশাক পরতে বেশি আগ্রহী। বিশেষ করে ছেলেদের পাঞ্জাবি বা কুর্তা ধারা এই ঈদেও অব্যাহত থাকবে। তবে রেগুলার ড্রেস হিসেবে শার্ট, টি-শার্ট বা ফতুয়ার কদরও কম নেই। যদিও এ বছর ছেলেদের পোশাক ট্রেন্ডে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। বিশেষ করে কাটিং ও প্যাটার্নে। দু’তিন বছর ধরে চলে আসা ছেলেদের পোশাক ট্রেন্ডে দেশীয় ডিজাইন প্রাধান্য লক্ষ করা গেছে।
গতবারের মতো এবারো সব ধরনের পোশাকের নকশায় এ বছর ফুলেল আবহ দেখা যাচ্ছে। পাঞ্জাবিতেও তা। মোগল স্থাপত্যের অলংকরণে থাকা ফুলসহ লতাপাতার ব্যবহার দেখা যাবে পাঞ্জাবির বাটনপ্লেট, কলার ও হাতার ওপর-নিচে। আছে নানা রকম ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ছাপার কাজও। ফ্যাশন হাউস জেন্টেল পার্কের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে দুই ধরনের পাঞ্জাবি দেখা যাবে। একদম সাদামাটা আর কিছু পাঞ্জাবিতে থাকবে ভারী কাজ। তবে সাদামাটার সংখ্যাই বেশি।
ঈদের পোশাক প্রস্তুতি এবং ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কে ফ্যাশন হাউজ জেন্টেল পার্কের ডিজাইনার জাহিদ হোসেন আকাশ জানান, এবার ভিন্নধর্মী কিছু পাঞ্জাবি ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। পাঞ্জাবির পাশাপাশি থাকছে কাবলি সেট। অবশ্য কাবলি সেট খুব কমই ছেলেই পরেন। এবারের ঈদে ছেলেদের ক্যাজুয়াল পোশাকে কিছুটা বৈচিত্র্য এসেছে।
মেয়েদের পোশাকেও বৈচিত্র্য
সময়োপযোগী আরামদায়ক পোশাকের দিকে নজর তরুণীদের। কারণ পোশাক যদি আরামদায়ক না হয় তাহলে ঘামে ভিজে একাকার হয়ে যেতে হবে। সৃষ্টি হবে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির। এবার ঈদ গরমে হওয়ায় মেয়েরাও হালকা পোশাক বেছে নিচ্ছেন। সে সঙ্গে কালো পোশাক কমছে এবার।
মেয়েদের ড্রেসে কাপড় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে কটন, এন্টি কটন, সিল্ক, খাদি, ডয়েল, অরবিন্দু লিনেন কটন, গুঁড়িচেক, সিনথেটিক ইতাদি। পাতলা, মসৃণ ও আরামদায়ক ফেব্রিকসে তৈরি ড্রেস দিনে ও রাতে অনায়াসে মানিয়ে যাবে। মেয়েদের পোশাকগুলোয় কাজের ভেরিয়েশন ব্যাপক হারে লক্ষণীয়। থ্রি-পিস, টু-পিস, টপস, কুর্তা রাখা হয়েছে এমব্র্রয়ডারি, এলিক, হাতের কাজ, পাতির কাজ, ব্লক প্রিন্ট, বাটিক প্রিন্ট, কারচুপি ইত্যাদি কাজের মিশ্রণ।
লা রিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুন্নুজান নার্গিস বলেন, লা রিভের ঈদুল ফিতর সংগ্রহের মূল থিম ছিল ‘উৎস মূল’। অর্থাৎ শিকড়ে ফেরা। বিশ্বের অনেক অঞ্চলের মানুষ যখন গুহাবাসী, আমরা তখন পৃথিবী বিখ্যাত বস্ত্র তৈরি করেছি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী মসলিনের একটা বড় সংগ্রহ থাকবে এবার ঈদ সংগ্রহে। এ ছাড়া জামদানির নানা মোটিফ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক পোশাকে ব্যবহার করেছি।
এবার ঈদ ফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে হিজাবও। এটাকে বিভিন্ন স্টাইলে মাথায় পেঁচিয়ে নিচ্ছেন তরুণীরা। স্কার্ফ ছাড়াও জামার ওড়না কিংবা দোপাট্টা দিয়েও সহজেই হিজাব বানানো যায়। তাই অনেকেই এবার ঈদ ফ্যাশনে হিজাবকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।