শ্যামনগরে ফণীর প্রভাবে পাউবো বেড়ীবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীরর প্রভাবে শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুর ও মুন্সিগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন ধরেছে।
ফণির প্রভাবে কপোতাক্ষ নদীতে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে গাবুরা গ্রামে অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুসের বাড়ীর সামনে ২ কিলোমিটার ব্যাপী পাউবো বাঁধ নদীতে ভেসে গেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তড়ি ঘড়ি বাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি, এম, মাসুদুল আলম জানান ঝড়ের আঘাতে ইউনিয়নে ২৭ কিলোমিটার পাউবো বাঁধের অধিকাংশ স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তন্মধ্যে পার্শ্বে মারী, টেকেরহাট, গাগড়ামারী, চাঁদনীমুখা, নাপিতখালী, হরিষখালী ও সোরা এলাকায় বাঁধের অবস্থা অতি ঝূঁকিপূর্ন, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভাঙনের বিষয় অবহিত করা হয়েছে তিনি জানান।
অপরদিকে পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আতাউর রহমান জানান, ঝড়ের আঘাতে নদীতে প্রবল ঢেউয়ে ইউনিয়নের কামালকাটি হাবলী হতে স্লুইজ গেট পর্যন্ত খোল পেটুয়া নদীতে ধ্বসে গেছে। এছাড়া খুটিকাটা হতে চাউলখোলা পর্যন্ত পাউবো বেড়ীবাঁধ অতিঝূকিপূর্ণ।
মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল জানান, ফনির আঘাতে ইউনিয়নে বড় ভেটখালী মোস্তফা সরদারের বাড়ীর সামনে ৫শতফুট ব্যাপী মীরগাং নদীতে ধ্বসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান নদীতে বিলিন হয়ে বিস্ততৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও জানান, শনিবার মধ্য রাতের ঝড়ে মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাউনি সম্পূর্ণ রূপে উড়ে গেছে। এতে স্কুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পাউবো) রাশিদুল রহমান ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।