ফণীর প্রভাবে বেনাপোলে কমেছে আমদানি-রফতানি

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে কমেছে আমদানি-রফতানি। বন্ধ রয়েছে সেখানকার বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পাসপোর্টধারী মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে।

এদিকে ফণীর প্রভাবে এরই মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলে। কালো মেঘে ঢাকা রয়েছে আকাশ। কিছু স্থানে বাতাসও বইছে। স্থানীয়রা বলছেন, সাতক্ষীরা ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চব্বিশ পরগনায় ফণী আঘাত হানতে পারে। এ কারণে ওই এলাকার মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেনাপোল বন্দরেও পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়ের বড় প্রভাব।

বেনাপোল বন্দরের এয়ার ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠান টাইম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের প্রতিনিধি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এই এলাকায় এয়ারে ভ্রমণের চাহিদা বেশি। প্রতিদিন তাদের কম বেশি টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু ফণীর আগাম সতর্ক বাণীতে শুক্রবার (৩ মে) কোনো টিকিট বিক্রি হয়নি। খুব জরুরি ছাড়া দূর পাল্লার বাসেও মানুষ কম চড়ছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী সঞ্চয় কুমার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ফণী আতঙ্কে সব স্কুল বন্ধ রয়েছে। রাস্তার ধারে সাটানো বড় বড় সাইনবোর্ড ক্ষতির আশঙ্কায় খুলে রাখতে দেখা গেছে। সেখানকার মানুষের মধ্যেও বেশ আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লেয়াজ রহমান বলেন, এ পথে প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। অধিকাংশ যাত্রীই চলাচল করেন সকালের দিকে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই যাত্রীদের যাতায়াত অনেক কম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)