দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ফণির দুর্বল আঘাত
যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, মেহেরপুর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপাসহ উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ফণির অগ্রভাগের আঘাত শুরু করেছে। এ কারণে ওই সব এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। ফণির গতি কমে যাওয়ায় বাতাসের গতিবেগ ১৪০-১৬০ কিলোমিটার।
তবে মূল ঝড় বাংলাদেশে আসতে আসতে ফণির গতি আরো কমে যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এটি দুর্বল হয়ে একটি ‘সাধারণ ঝড়’ এ পরিণত হয়ে উপকূলী এলাকায় আঘাত হেনে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ ভোরে গণমাধ্যমকে জানান, ঝড়টি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। যা বর্তমানে মোংলা সমুদ্রবন্দর অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে। ফণির স্বাভাবিক গতি পরিবর্তন হওয়া বাংলাদেশে প্রবেশে দীর্ঘ সময় নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূল অংশ যখন বাংলাদেশে আঘাত হানবে, তখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও ৬২, ৮০ ও ১০০ কিলোমিটার থাকবে।
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক সময় ১০০ কিলোমিটার গতির বাতাসেও প্রাণ ও ফসলহানি হয়। মনে রাখতে হবে, এটি ভূমি দিয়ে আসছে। তাই প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা কম, তবে শঙ্কা উড়িয়েও দেয়া যায় না।
উপকূলজুড়ে এরইমধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা, দেখানো হয়েছে বিপদসংকেতও। মোংলা ও পায়রায় ৭, চট্টগ্রামে ৬ এবং কক্সবাজারকে দেখানো হয়েছে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত।
এদিকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দুর্গত এলাকার মানুষকে। যদিও অনেকই আঁকড়ে পড়ে আছেন ভিটেমাটি।
ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা ১৯ উপকূলীয় জেলায় খোলা হয়েছে ২৪ ঘন্টার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
আবহাওয়া অফিস থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।