ফণি’র প্রভাবে শ্যামনগরে ঝড়ো আবহাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টি: আশ্রয়কেন্দ্রে উপকুলবাসী
ঘূর্ণিঝড় ফণি’র প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের দিক হতে উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন অংশে হালকা মাঝারি আকারে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া দুপুরের আগে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পাষশ্ববর্তী নদ-নদীসমুহে ৪ থেকে সাড়ে চার ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পায়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফনি মোকাবেলায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে উপুকলীয় গাবুরা, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালীনি ও কৈখালী এলাকার প্রায় পঞ্চাশটি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে এসব এলাকার প্রায় আট হাজার মানুষ।
তবে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের রাতের নির্দেশনা মোতাবেক উপকুল-বাসীকে শুক্রবার সকাল থেকে পাশ্বস্থ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রসমুহে আশ্রয় গ্রহণকারীদের জন্য শুকনা খাবার হিসেবে মুড়ি ও পানিসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
যদিও আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা শ্যামনগরের অন্তর্গত পাঁচ ও ১৫ নম্বর পোল্ডার দুটির প্রায় তিরিশটি জায়গার ভাঙন বিপদজনক থাকায় এসব এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র আতংক বিরাজ করছিল।
নীলডুমুর গ্রামের আকবর হোসেন এবং গারাবুরার সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন জানায়,দাতিনাখালী এবং পোড়াকাটলা দুর্গাবাটি এলাকার বাঁধ মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি নাপিতখালী, ৩ নং লক্ষীখালী, হরিশখালী, পদ্মপুকুরের কামালকাটিসহ বগ গাবুরা অংশের ভাঙন গোটা এলাকাজুড়ে ভীতি ছড়াচ্ছে। ফণি’র প্রভাবে পানির চাপ ও বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেলে যেকোন মুহূর্তে এসব এলাকার উপকুল রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গোটা এলাকা প্লাবিত করার আশংকায় রয়েছে গোটা উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসক মহোদয় বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামনগরে জন প্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছেন। তার নির্দেশনা মতে আগেভাগে গোটা উপকূলীয় এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা পরিবারসমুহকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র সমুহে আশ্রিতদের মধ্যে খাবার এবং চিকিৎসা ও খাদ্য উপকরণ সরবরাহের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।