সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাটার ইট পোড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির সনদ ছাড়াই গত চার বছর ধরে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে এম.বি ব্রিকস ও নিউ এম.বি ব্রিকস নামে দুইটি ইটের ভাটা চলছে অবৈধ ভাবে।শুধু তাই নয় ভাটা দুইটিতে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও পুরানো টায়ারের গুড়া।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, দাদপুর গ্রামের এম.বি ব্রিকস ও নিউ এম.বি ব্রিকস দুইটি ভাটার মালিক আলহাজ¦ শেখ মহাসীন তিনি ইটভাটা দুইটিতে পরিবেশবান্ধব চিমনি ব্যবহার করলেও জালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহার করছেন।
ভাটা দুইটির চারিপাশে ঘুরে কোথাও কয়লার দেখা না গেলেও চারপাশে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ভাটার কর্মরত কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ইটভাটা দুইটিতে জ্বালানি হিসেবে পোঁড়ানো হয় কাঠ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, প্রতি মৌসুমে এ ভাটা দুইটিতে প্রায় ২০ হাজার মণ কাঠ পোরানো হয়।
দাদপুর এলাকার গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও ধুলাবালিতে তারা বাড়িতে থাকতে পারেননা। ভাটার মালিক অর্থশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা।আইন অনুযায়ী জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো নিষিদ্ধ। তারপরও নির্বিঘ্নে তার ভাটায় কাঠ পোঁড়ানো হচ্ছে।
ইটভাটার মালিক আলহাজ¦ শেখ মহাসীনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন অন্য কেউ রিসিভ করে বলেন তিনি অসুস্থ্য আছেন তার সাথে কথা বলা যাবেনা এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন,ওই ইট ভাটা দুইটিতে কাঠ পোরানো হচ্ছে এবিষয়ে তিনি অবগতনন। যেহেতু ভাটা মালিক ইটের জালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করে অনিয়ম করছে এজন্য অতিদ্রুত তার ভাটার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।