ভোমরায় বিজিবি কর্তৃক হয়রানি মূলক ফেন্সিডিলসহ আটকে : সি এন্ড এফ এসোসিয়েশনের তীব্র নিন্দা
ভোমরাস্থল এলাকায় এলসির টাকাসহ আটক করে পরে ফেন্সিডিলসহ চালান দেওয়ায় ঘটনায় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। গত ২৯ এপ্রিল’১৯ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে এঘটনা ঘটে।
৩০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে আমদানী ও রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়শনের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত একপত্রে এ অভিযোগ তুলে জানানো হয়েছে, ,
আমদানি-রপ্তানিকারক মোঃ শামীম হোসেন, শামীম এন্টারপ্রাইজ নামে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। যার ভ্যাট রেজিঃ নং- ১৫০৭১০৫০৮৬৭। ওইদিন তাহার অফিসের কর্মচারী মোঃ রাজুকে দিয়ে ৭লক্ষ টাকা এলসি করার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় ভাউচারসহ পাঠায়।
রাজু টাকাসহ ভোমরা বাঁশকল এলাকায় আসা মাত্রই টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে। এ সময় রাজুর কাছে ব্যাংকের জমা ভাউচার ও টাকার ফিগার ছিলো। কিন্তু তারপরও বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে ৭লক্ষ টাকা কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এবং ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ রাজুকে আটক দেখায়। যদি টাকা থানায় জমা দিয়েছে বিজিবি। সে সময় রাজু’র কাছে ছাড়া আর কিছুই ছিলো না।
মামলায় বিজিবি উল্লেখ করেছে রাজুকে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করেছে। অথচ বাঁশকলের সামনে আটকের বিষয়টি স্থানীয় অনেকেই দেখেছেন যার প্রমাণ আছে। বিজিবি’র এ ধরনের কর্মকান্ডে আতংকিত হয়ে পড়েছেন ভোমরাস্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানিকাররা।
ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিজিবি’র এধরনের আগ্রাসন মূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ বিনা কারণে হয়রানি হবে। এবিষয়ে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য উক্ত আমদানি কারক মোঃ শামীম হোসেন তার ব্যবসায়ী কাগজপত্র নিয়ে ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পে যান। কিন্তু সেখানে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।