যে নারীর সবকিছুই ‘রহস্যময়’
মাত্র ৩৯ বছরের জীবন। তবুও দৈনন্দিন জীবন, প্রেম, মৃত্যু সবকিছুতেই রেখে গেছেন রহস্যের ধাঁধা। বলছিলাম ক্লিওপেট্রা‘র কথা। তিনি ছিলেন খাড়া নাক টানা চোখের, তাকে সৌন্দর্যের রাণীও বলা হয়ে থাকে। তবে এর রহস্য কী?
ক্লিওপেট্রার ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান এবং শক্তিধর নারী। যেমন উচ্চাবিলাসী ছিলেন, তেমন বুদ্ধিমানও। খুব সহজেই সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারতেন তিনি। নিজের প্রথম কথাতেই সবসময় অটল থাকতেন এবং সবাইকে কীভাবে বশ করতে হয় সেটাও জানতেন। এ কারণে তাকে অনেকেই ‘সাক্ষাৎ দেবী’ বলে ডাকতেন।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০ অব্দের মাঝামাঝিতে তার ছবি সংযুক্ত বেশকিছু কয়েন বাজারে ছাড়া হয়। তবে, বিষয়টি শুধু কয়েনে সীমাবদ্ধ না। এ পর্যন্ত যতগুলো কয়েনে ক্লিওপেট্রাকে পাওয়া গেছে, সবগুলোর মধ্যে সাদৃশ্য আছে। সব কয়েনগুলোতেই ছুঁচালো নাক এবং থুঁতনি পাওয়া গেছে। এজন্যই হলিউডের ক্লিওপেট্রার যে চেহারা মানুষের কল্পনায়ে এঁকে রেখেছেন, বাস্তবের ক্লিওপেট্রা কিন্তু তার থেকে একেবারেই আলাদা।
প্রায় ২০৫০ বছর আগে মারা গিয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা। বহু বছর ধরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুঁজে তার সমাধির খোঁজ পেয়েছেন। প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস জানান, আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ১৮ মাইল দূরে প্রাচীন শহর তাপোসিরিস মাগনা, সেখানেই শায়িত রয়েছেন তিনি।