বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিংয়ে নাকাল সাতক্ষীরা বাসী
বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিংয়ে নাকাল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা বাসী। সকাল হতে না হতেই সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সময় গড়িয়ে দুপুর আসতে না আসতেই সেই তাপদাহ রীতিমত অসহনীয় হয়ে উঠছে। তবে, সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, প্রিপেইড মিটার লাগানো, বিদ্যুতের খুটি স্থানাস্তর ও ত্রুটিপূর্ণ তার মেরামতের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে এর কারণে সাতক্ষীরার সাতক্ষীরার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডাব ও শরবত বিক্রি করতে দেখে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ডাব ও শরবত খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন। এদিকে, গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং হওয়ার কারণে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অব্যাহত লোডশেডিং-এর কারণে তাদের পড়াশুনায় চরম ভাবে বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরো করুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের কলেজ রোড এলাকার ভ্যান চালক সিদ্দিকুর রহমান জানান, গরমে ঠিকমত ভ্যান চালাতে পারছিনা তার উপর বিদ্যুতের এই লোড শেডিং আর সহ্য করা যাচ্ছেনা।
জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম জানান, দিনের বেলায় কাজের কারণে যদি ঘন ঘন লোড শেডিং করা হয় তাহলে রাতের বেলায় বা ভোর বেলায় কেন বিদ্যুৎ থাকছেনা। তিনি এ জন্য সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। তিনি জানান, সরকার যেখানে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন সেখানে বিদ্যুতের এই লোড শের্ডিং কোন প্রকার মেনে নেয়া যায়না। তিনি আরো জানান, বিদ্যুতের এই লোড শেডিং সমস্যার দ্রুত সমাধান করা না হলে সাধারণ জনতাকে নিয়ে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে ওয়েস্ট পাওয়ার জোন ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাতক্ষীরার আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, সাতক্ষীরায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ মেগাওয়াট। আমরা পাচ্ছিও ১৭ মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেলেও কেনো এই ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রিপেইড মিটার লাগানো, বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর ও ত্রুটিপূর্ণ তার মেরামতের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।