সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা
কলারোয়ায় অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলারোয়ার খোর্দ্দ গ্রামের মৃত দুখে গাজী ছেলে মো. সবুর গাজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ১৯৬৩ সালের দিকে খোদ্দো মৌজায় ১০৩, এস এ খতিয়ান ২৭ ও ২৪ দাগ নম্বর ১৯৪৮, ১৯৪৯ দাগে ৫৯ শতক সম্পত্তি মৃত মোহর আলীর কাছ থেকে আব্দুস সোবহান খা ক্রয় করেন। পরবর্তীতে সোবহান কোবলা দলিল মূলে আমাদের ৭ ভাই যথাক্রমে আবুল কাশেম, মীর কাশেম, বজলুর রহমান, ফজলুর রহমান, আব্দুস সবুর, আমজাদ আলী ও জামাল উদ্দিনের কাছে বিক্রয় করেন। সে বুনিয়াদে আমরা ৭ ভাই উক্ত সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু মৃত. মোহর আলীর পোতা অর্থলোভী আনারুল ইসলাম অবৈধ লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে তার দাদার বিক্রয় করা সম্পত্তি দখলের জন্য ভূয়া রেকর্ডের কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধভাবে উক্ত সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এবিষয়ে কলারোয়া সহকারী জজ আদালতে আনারুলসহ ৩৭ জনকে আসামী করে ৩১১/১১নং মামলা আনারুল দিংদের বিরুদ্ধে করি। উক্ত মামলায় আদালত গত ০১/৪/১৫ তারিখে আনারুল গং এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন। কিন্তু আনারুল উক্ত আদেশ অমান্য করেন। উক্ত আদেশ অবমাননা করায় আনারুল ইসলাম দিং এর বিরুদ্ধে আবারো আদালতে মিস ১৩/১৮ নং আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করি। ওই সম্পত্তি দখল করতে না পেরে এবং তার বিরুদ্ধে মিস কেস মামলা দায়ের করায় আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে যাচ্ছে সে। গত ২৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আনারুল দাবি করেছে তার পিতা জয়নুদ্দিন, চাচা আয়েন উদ্দিন ও আমার ভাই বজলুর রহমান আমাদের মারপিটে নিহত হয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আনারুলের পিতাকে আনারুল ও তার মাতা রহিমা ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে। তার পিতা জয়নুদ্দিন কে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে উঁচু স্থান থেকে ফেলে দেয় সে ও তার মা। এর কয়েক দিন পর জয়নুদ্দিন মারা যায়। আয়েনউদ্দিন ক্যান্সারে মারা গেছেন আর আমার ভাই বজলুর রহমান স্টোকে মারা গেছেন। অথচ আনারুল তার পিতা, চাচা এবং আমার ভাই বজলুকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রচার দিয়ে অবৈধ ফয়দা লুটতে চায়। আমার ভাই পরিবারের সকল সদস্যের সামনেই স্টোকে মারা গেছেন। তাকেও হত্যার প্রচার দিয়েছে আনারুল। সে একজন ডাকাত দলের সদস্য।
তিনি আরো বলেন জয়েনউদ্দিন মারা গেছে প্রায় ২৪ বছর আর চাচা আয়েনউদ্দিন মারা গেছে ৫ বছর। এতবছর পর তিনি একেবার ৩টি মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভাই ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানাচ্ছি সাথে সাথে উক্ত ষড়যন্ত্রকারী আনারুলের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।