সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের শোক
সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর নেই (ইন্নলিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে সময় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মাহফুজ উল্লাহ’র বড় মেয়ে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ডা. মেঘলা তাঁর বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম (দৈনিক প্রবাহ), সাধারন সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন (দৈনিক তৃতীয় মাত্রা ও দৈনিক পত্রদূত), সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস (সাপ্তাহিক দখিনার দূত), সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্বা কাজী নাছির উদ্দীন (দৈনিক আমার সংবাদ), যুগ্ন-সম্পাদক শেখ বেলাল হোসেন (দৈনিক গণজাগরণ ও দৈনিক পত্রদূত), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া (দৈনিক বঙ্গজননী), অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল (দৈনিক কাফেলা), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ (দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা), কার্য্য নির্বাহী সদস্য মোঃআবুল কালাম (সাপ্তাহিক মুক্তস্বাধীন), আনিছুর রহমান তাজু (দৈনিক যুগের বার্তা), আরীফ মাহমুদ (দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক পত্রদূত), মোঃ আব্দুল মতিন (দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক দেশ সংযোগ) মোঃ হেলাল উদ্দীন (ক্রাইম প্রতিদিন, সিপি টিভি), কাজী ফখরুল ইসলাম রিপন (দৈনিক সোনালীবার্তা) ও এ এইচ এম তুমু (দৈনিক তৃতীয় মাত্রা) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল তাঁকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ এপ্রিল সকালে ধানমন্ডি গ্রীন রোডে নিজ বাসায় মাহফুজউল্লাহ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক।ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা মাহফুজ উল্লাহ ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা ছাড়াও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।