কলারোয়ায় অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ : আসামী পলাতক
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার বিকালে এ মামলাটি কলারোয়ায় থানায় রেকর্ড ভুক্ত হয়। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার জালালাবাদ অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাএী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় এ সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে বখাটে সাদ্দাম হোসেন (২৪) গত ১৩ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণিতে পুড়ুয়া ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী শহিদুল ইসলামের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের বাড়ির বারান্দায় ফেলে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি ২৫ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রী তার মাকে জানায়। এনিয়ে ওই এলাকায় মেয়ের মা ও মেয়ে গ্রাম্য শালিশের দারস্থ হয়। সেখানে কোন সুরহা না হওয়ায় শনিবার বিকালে কলারোয়া থানায় সাদ্দাম হোসেনকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)ধারায় একটি মামলা নং-২২(৪)১৯ দায়ের হয়।
এদিকে মামলার ভিকটিম মামলায় উল্লেখ্য করেন, আসামী সাদ্দাম হোসেন তার প্রতিবেশী হওয়াতে পরিচয় হয়। ঘনঘন তাদের বাড়ির আশেপাশে ঘোরা ফেরা করার এক পর্যায়ে তার সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর দুই একদিন তার সহিত কথা বার্তা ও দেখা হয়। ১৩ এপ্রিল বিকালে ভিকটিম পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখাকালীন আসামী সাদ্দাম হোসেন ইশারায় ডাকদিলে সেখানে যায়।
তখন আসামী সাদ্দাম ভিকটিমকে মিষ্টি মিষ্টি ভালবাসার কথা বলে সুকৌশলে ফুসলে পার্শ্ববর্তী রুহুল কুদ্দুসের বাড়ির বারান্দার কর্নারে ঘেরা জায়গায় নিয়ে যায়। তখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ওই বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে এবং রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী রান্না ঘরে থাকায় ঝড়ের বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে ভিকটিমকে মুখ চাপে জাপটাই ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে নীরবে লোক লজ্জার ভয়ে এবং মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে কাউকে কিছু না বলে রুহুল কুদ্দুসের বাড়ি হতে চলে যাই। এর মধ্যে ভিকটিম আসামী সাদ্দামের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতে থাকে। তখনও কাউকে বিষয়টি নিয়ে ভিকটিম বলেনি। পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল ভিকটিম তার মা রাবেয়া খাতুনকে বিষয়টি খুলে বলে। তার পরে ভিকটিমের পিতা ও মাতা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের নিয়ে শালিশের দারস্থ হয়। আসামী সাদ্দাম হোসেন শালিসে হাজির না হওয়ায় কলারোয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনসচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, ভিকটিম পুলিশ হেফাজাতে রয়েছে। আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অনুমতি নিয়ে মেডিকেল করা হবে।