আসছে কালবৈশাখী
দেশজুড়ে কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। শনিবার এর মাত্রা কিছুটা কম হলেও ছিল ভ্যাপসা গরম। মৌসুমের প্রথম গরমে উঠছে মানুষের নাভিশ্বাস। এ অবস্থায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ১৮ জেলা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে কালবৈশাখী। এক্ষেত্রে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ হবে ৮০ কিলোমিটারেরও ওপরে।
আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ হিসেবে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসগর এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। তা ধীরে ধীরে গতি বেড়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ আছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত, সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।