বিভিন্ন মহাসড়কে চলছে পরিবহন ধর্মঘট
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ ১৯ সড়কপথে এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কসহ ৬৮ সড়কপথে ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ডিবি পরিচয়ে বাস থেকে চালককে নামিয়ে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বৈঠক থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। ধর্মঘট প্রত্যাহারে বুধবার বিকাল ৫টায় পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন। এতে জেলা এসপি নূরে আলম মিনাসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈঠকে প্রশাসনের ডাকে সাড়া দেননি শ্রমিক নেতারা। তারা ধর্মঘটের পক্ষে অনড় অবস্থান নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শ্রমিক ফেডারেশন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছেন। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কিনা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুসা বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রামের পটিয়ার শান্তিরহাটের ওয়াই জংশনের কাছাকাছি এলে সাদাপোশাকে থাকা একদল লোক ডিবি পরিচয়ে বাসটি থামায়।
তার কাছে ইয়াবা আছে বলে তারা চালক জালাল উদ্দিনকে হাতকড়া পরিয়ে নিচে নামায় এবং দূরে নিয়ে মারধর করে। এতে জালাল উদ্দিন অজ্ঞান হয়ে গেলে বাসে তুলে দেয়া হয়। আহত চালককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুসা আরো বলেন, জালাল হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। কোনো সুরাহা না হলে রোববার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামে সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচির আহবান করা হবে।
রংপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবরঃ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশের পর পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।