তালাক না দিয়ে স্ত্রীর নতুন বিয়ে ; স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

তালাক না দিয়েই আমার স্ত্রী শামসুননাহার অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে। এই সুযোগে সে আমার ক্রয়কৃত ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং ব্যবহার্য অন্যান্য জিনিসপত্র লোপাট করেছে। এমনকি আমার শ্বশুরের বাড়ি তৈরিতে যে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলাম তাও ফেরত পাইনি।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালাক্ষি গ্রামের আবদুল কাদির মিন্টু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তার ভাই ওবায়দুল ইসলাম , ভাবী শম্পা খাতুন ও বোন হিরা খাতুন।

তিনি জানান ১২ বছর আগে শহরের কামালনগর গ্রামের সোহরাব হোসেন বাহারের মেয়ে শামসুননাহারের সাথে তার বিয়ে হয়। ২০১৭ সালে শ্বশুর সোহরাব হোসেনের মৃত্যুর পর থেকে শাশুড়িকে দেখাশুনা করার জন্য আবদুল কাদির মিন্টু কামালনগরে শ^শুরের বাড়িতে থাকতেন। সংসার করাকালে কাদির বহু টাকার আসবাবপত্র ক্রয় করেন। তিনি নিজে একটি এনজিওতে চাকরি করে বিধায় তাকে অনেক সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। এই সুযোগে তার স্ত্রী শামসুননাহার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি এলাকার বাবুর আলি সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মিঠুন নামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। মিঠুন একজন লম্পট প্রকৃতির লোক এবং সে আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছে জানতে পেরে আবদুল কাদির তার স্ত্রীকে সেই পথ ছেড়ে আসার কথা বলেন। কিন্তু সেসব কথা কানে না নিয়ে আড়াই মাস আগে মিঠুনের সাথে শামসুননাহার গোপনে বিয়ে করে। পরে তারা শহরের রাজারবাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করতে থাকে।

কাদির মিন্টু বলেন এ বিষয়ে তিনি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে ‘ আমি ভুল করেছি। আমাতে মাফ করে দাও’। এ কথা জানার পর কাদির সরল বিশ^াসে তাকে তালাক করিয়ে নেন আদালতের মাধ্যমে। এর পর থেকে শামসুননাহার ও কাদির তাদের শ্যামনগরের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে কাদির বলেন কিছুদিন পর তার শ্বশুরের শরীর খারাপ হওয়ায় শামসুননাহার কামালনগরে ফিরে আসেন। সেখান থেকে সে আর শ্যামনগরের বাড়িতে যায়নি। এর কিছুদিন পর কাদির কামালনগরে নিজের শ্বশুরের বাড়ি এসে দেখতে পান শামসুননাহার লম্পট মিঠুনের সাথে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করছে। এ সময় সে জানিয়ে দিয়েছে ইসমাইল হোসেন মিঠুন তার স্বামী এবং আগের স্বামী কাদির ও তার পরিবারের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

কাদির বলেন তার সাবেক স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণালংকার রয়েছে। আমার সারা জীবনের উপার্জনের বড় অংশ তার হাতে পড়েছে। বাড়ি করার জন্য শ্বশুরকে আড়াই লাখ টাকাও দিতে হয়েছিল । এসব মিলে প্রায় আট লাখ টাকা হজম করে ফেলেছে শামসুননাহার ও তার নব্য লম্পট স্বামী ইসমাইল হোসেন মিঠুন। ইসমাইল মিঠুন তার আগের স্ত্রীকে কামালনগরে ফেলে রেখে এসেছে। তাকে তালাকও দিচ্ছে না। তার সাথে সে নানা কথা বলে নাটক করছে। তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। কথা বললে তাকে মারধর করছে। ডিস ব্যবসার নামে মিঠুন লাম্পট্য চালিয়ে যাচ্ছে। এই লম্পট মিঠুন ও তার নব্য কথিত স্ত্রী শামসুননাহার এখন কাদিরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে । তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কাদির প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)