খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে সাতক্ষীরায় ভাষা শহীদ আনোয়ার স্মৃতি সংসদের কমিটি গঠন
সাতক্ষীরায় ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল পাগলা বাঁশি বাজিয়ে গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করা হয় ৭জন দেশপ্রেমিককে। নিহতরা হলেন রাজবন্দী- বিজন সেন, দিলওয়ার হোসেন, হানিফ শেখ, কম্পরাম সিংহ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, সুধীন ধর ও আনোয়ার হোসেন নিহত হন। ৪২জন রাজবন্দীর দু-একজন ছাড়া সবাই আহত হন।
নিহতদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ তারিখকে ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবসে’ খুলনা বিএল কলেজের তেজদীপ্ত মেধাবী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার সাথে ছিলে বিএল কলেজের অন্যান্য কয়েকজন ছাত্রনেতা। পরবর্তীতে রাজশাহীর খাপড়া ওয়ার্ডে নিয়ে তাকে ২৪ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করে। ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামে। তার পিতার নাম কোনাই সরদার। নানা শিক্ষক বাছের সরদারের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন তিনি। আনোয়ার হোসেনকে ভাষা শহীদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে আহবায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘ভাষা শহীদ আনোয়ার স্মৃতি সংসদ’ কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন, সাপ্তাহিক সূর্যের আলোর সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহিম, সাংবাদিক এসএম শহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অরবিন্দু মৃধা, কবি গাজী শাহজাহান সিরাজ, কবি নিশিকান্ত ব্যানার্জী, মনিরুজ্জামান মনি ও মুনসুর রহমান।
এর আগে খাপড়া ওয়ার্ডের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাপ্তাহিক সূর্যের আলোর সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহিম, সাংবাদিক এসএম শহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অরবিন্দু মৃধা, কবি গাজী শাহজাহান সিরাজ, কবি নিশিকান্ত ব্যানার্জী, মনিরুজ্জামান মনি ও মুনসুর রহমানসহ অনেকেই। সভায় বক্তারা মহান ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ইতিহাসের আড়ালে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাঁদের সামনে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।