স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছে শাহানারা :সম্মেলনে স্ত্রী মৌ
আমার স্বামী ফারহাদ হোসেনের পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছেন শাহানারা খাতুন। তিনি যেখানে জমি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন সেখানে জমিদাতা এলেমান্নেছার জমি মাত্র আধা শতক। সে জমি সরকারি রাস্তার মধ্যে চলে গেছে।
সোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান শহরের পলাশপোলের ফারহাদ হোসেনের স্ত্রী মাসকুরা পারভিন মৌ। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার চাচা রাজিবুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে মাসকুরা পারভিন মৌ বলেন ১৯৬৫ সালে পলাশপোল মৌজার জেএল নম্বর ৯৪,এসএ খতিয়ান ২৯৫০, খারিজ মতে ২৯৫০/০২, ডিপি খতিয়ান৩৬৮, এসএ দাগ নম্বর ৩০৩, হাল দাগ নম্বর ৪৮৫৬ এর ৪৪ শতকের মধ্যে ২২ শতক জমি তার দাদা শ^শুর ওয়াজেদ মিয়া মূল মালিক এলেমান্নেছার কাছ থেকে ক্রয় করেন। ওই জমিতে আমার শ্বশুর ও তার পরিবারের সদস্যরা শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
মৌ জানান ২০০৪ সালে মধুমোল্লারডাঙ্গির শেখ শহিদুল ইসলামের মেয়ে শাহানারা খাতুন ওই স্থানে এক শতক জমি কিনেছেন জানিয়ে তা দখল করতে আসেন। এ সময় গ্রামবাসী তাকে জানান শাহানারার কেনা জমি সরকারি রাস্তার ভেতর চলে গেছে। এ ছাড়া তার আর কোনো জমি সেখানে নেই। তিনি জানান একথা জানার পর শাহানারা খাতুন সাতক্ষীরা সদর সহকারি জজ আদালতে স্বত্ব প্রচারের মামলা করেন। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। মৌ আরও জানান তাদের জমিতে ঘর বাঁধতে গেলে শাহানারা খাতুন তাতে বাধা দেন। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে আরও একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন পুলিশ সুপারের কাছে গেলে তিনি সদর থানাকে যথাযথ নির্দেশ দেন। এ অনুযায়ী গত ১২ এপ্রিল থানায় বসলে ওসি জানান বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় সমাধান আদালতই দেবেন। তিনি দুই পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেন। মৌ জানান এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহানারা খাতুন পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মাসকুরা পারভিন মৌ বলেন এডভোকেট আবদুল লতিফ আমাদের আইনজীবী মাত্র। তিনি এ সংক্রান্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।