দেশে ধর্মীয় স্থাপনা ও কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার
শ্রীলংকায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে রাজধানীসহ সারাদেশের ধর্মীয় স্থাপনা ও কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শ্রীলংকায় খ্রিস্টান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদ্যাপনের সময় তিনটি চার্চ, তিনটি হোটেল ও চিড়িয়াখানা এলাকায় ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮৫ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর বাংলাদেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গির্জাগুলোর চারপাশে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
তাদের দাবি, নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও কোনো ধরনের হুমকি নেই।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বলেন, শ্রীলংকার ঘটনার কোনো রেশ আমাদের দেশে থাকবে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি না। তারপরেও আমরা কোনো কিছুকে কম গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি না। যেহেতু এরকম একটি ঘটনা আমাদের নিকটবর্তী একটি দেশে ঘটেছে, বিষয়টি আমরা অবশ্যই বিবেচনায় রেখেছি। ধর্মীয় যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোতে আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা এবং নজরদারি থাকবে।
রোববার রাজধানীর চার্চগুলো সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা চার্চগুলোতে এসে প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন। কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চে সকাল ৭টায় ছিল পুনরুত্থান পাস্কাপর্ব। শেষ হয় বেলা ১০টার পর। একইচিত্র ছিল তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায়। সকাল থেকে খ্রীষ্টভক্তরা ইস্টার সানডেতে খ্রীষ্টযোগে অংশ নেন।
এদিকে শ্রীলংকায় সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পর গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও নিকটবর্তী দেশ বা বিশ্বের কোথাও বোমা হামলার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম হলে গুলশান কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয় বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কূটনৈতিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এ ধরনের যেকোনো ইন্সিডেন্ট ঘটলে আমরা সাধারণত নিরাপত্তা টপ পজিশনে রাখি। এবারও তাই হয়েছে।