ট্রেনে চড়ে তিব্বত!
তিব্বত, নামটি শোনার পর ‘নিষিদ্ধ’ শব্দটি মনে চলে আসে। বিশ্ববাসীর কাছে তিব্বত ও এর রাজধানী লাসা পরিচিতি যথাক্রমে নিষিদ্ধ দেশ এবং নিষিদ্ধ নগরী হিসেবে। কিন্তু ভ্রমণপিপাসা মেটাতে চীনের স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানো চাই-ই চাই। কারণ তিব্বতে আছে এভারেস্ট, পবিত্র শহর লাসা, পবিত্র পাহাড়, নীল আকাশ ও সাদা মেঘ। তিব্বত ভ্রমণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রইলো এই আয়োজনে-
যেভাবে যেতে পারেন
পথের অতি মুগ্ধকর সৌন্দর্য অবলোকন করতে করতে যেতে পারেন তিব্বত। চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে সরাসরি দ্রুতগতির ট্রেনে তিব্বত যাওয়া যায়। বেইজিং থেকে তিব্বত বিমানেও যেতে পারেন। এমনকি নিজে গাড়ি চালিয়ে বা ভাড়া করা গাড়িতেও যেতে পারেন।
প্রধাণ আকর্ষণ
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রহস্য হচ্ছে রাজধানী ‘লাসা’, যাকে বলা হয়ে থাকে ‘নিষিদ্ধ নগরী’। একে নিষিদ্ধ নগরী বলার পেছনেও রয়েছে অনেক কারণ। লাসা শব্দটির অর্থ হচ্ছে ‘ঈশ্বরের স্থান’। তিব্বতিদের জীবনে ধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে আর ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক স্থানগুলোর কেন্দ্রে রয়েছে এই শহর। তিব্বতিদের প্রধান ধর্মগুরু দালাইলামার বাসস্থানও লাসার পোতালা প্রাসাদে। শোনা যায় এই প্রাসাদের চূড়া সোনার তৈরি।
এসব কারণে পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে এই শহর। তিব্বত ভ্রমণের সময় প্রথম গন্তব্যশহর হিসেবে সাধারণত লাসা’কেই বেছে নেন পর্যটকরা। তবে গ্রীষ্মকালে টিকিট পাওয়া খুব কঠিন। তাই তখন শ্যান সি প্রদেশের সি আন বা নিং সিয়া প্রদেশের লান চৌসহ অন্য শহরের মধ্য দিয়ে তিব্বত যাওয়া সুবিধাজনক।
কী দেখবেন? কতদিন থাকবেন?
তিব্বতের রাজধানী লাসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিকে ভ্রমণ করতে পারেন।
লাসা ও এর উপকণ্ঠ: পোটালা প্রাসাদ, তা চাও মন্দির, জে পাং ও সে লা মন্দির। এসব জায়গা ঘুরে দেখতে দু’দিন সময় লাগবে।
পূর্বাঞ্চল: তিব্বতের পূর্বাঞ্চলে আছে লিন শি, পা সোং ছুও, ইয়ারলাং চাংপু গ্রান্ড ক্যানিয়ন, লু লাং ও মো থুও। এ অঞ্চল ঘুরে দেখতে তিন থেকে চারদিন লেগে যাবে।
দক্ষিণাঞ্চল: এখানে আছে সাং ইয়ে মন্দির, ইয়ো বু লাখাং, ছাং চু মন্দির ও জে কু মন্দির। ভালোভাবে ঘুরে দেখতে চার দিন সময় যথেষ্ট।
পশ্চিমাঞ্চল: শীগেস্ট সিটি, এভারেস্টের ঘাঁটি, চাশিলুনবু মন্দির, চি লং। সাধারণত চার দিনে ভ্রমণ শেষ করতে পারেন।
উত্তরাঞ্চল: নামটসো ও ইয়াং পা চিং ঘোরার জন্য দু’দিন সময় যথেষ্ট।