সোনাগাজী যাচ্ছে পুলিশের তদন্ত দল
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আজ (বুধবার) ফেনী যাচ্ছে পুলিশ সদর দফতরের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল। তদন্ত কমিটির সদস্যরা সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তারা সেখানে প্রশাসনের গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন।
কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন। তদন্ত দলের বাকি তিন সদস্যের দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক। ফেনী জেলা পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার তিন দিন পর পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়গুলো উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রতিবেদন দিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে সোনাগাজীর ওসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান কমিটিও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ প্রশাসনের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে। তদন্ত শেষে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশে গঠিত ওই কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করবেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।
৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন দেয়া হয়।
গেল ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনার পর গত ৮ এপ্রিল তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১০)।