ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান:আতঙ্কে শিক্ষার্থী
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সাফল্যের সাথে পাঠদান করে আসছে।সুনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অর্জিত সাফল্যে সন্তষ্ট শিক্ষকবৃন্দ,শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহল। কিন্ত বিদ্যালয়টিতে নেই কোন আধুনিক ভবন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ৪ / ৫ টি শ্রেণীকক্ষের অবস্থা খুবই নাজুক।
দেখা দিয়েছে ফাটল, যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ার আতঙ্কে পাঠ্যপুস্তকে মন দিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ভবন সংকটে শিক্ষা মান নষ্ট হচ্ছে, ব্যহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে বিদ্যালয়টিতে কিন্তু তাদের জন্যে নেই কোন সুব্যবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় – বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ভবনের প্লাস্টার ধ্বসের ধারণকৃত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় উক্ত ছবিটি অভিভাবক মোঃ খলিলুর রহমানের চোখে পড়ে।
ছবিটির সূত্র ধরে অভিভাবক মোঃ খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে ০৩/০৪/২০১৯ তারিখ বুধবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ও সচেতন অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অভিভাবকবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ আবুল আজাদ, ইকবাল হোসেন,নাজমুল হাসান,ঝাউডাঙ্গা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রশিদ,আব্দুস সামাদ, প্রভাষক হাসান মাহমুদ রানা, প্রভাষক সান্তু কুমার ঘোষ,প্রভাষক কনক কুমার ঘোষ, আরশাফুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অভিভাবক মোঃ খলিলুর রহমান বলেন – আপনারা আমাদের সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর। আপনাদের তত্বাবধানে, পাঠদানে আমরা সস্তুষ্ট কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির কয়েকটি শ্রেণীকক্ষের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা ছেলে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এমতাবস্থায় আমি প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দের প্রতি অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহব্বান জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় অভিভাবকদের প্রশ্ন উত্তরে প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম জানান- আমরা আপনাদের মতামত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করলাম,সভাপতির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আজমল উদ্দিন ( চেয়ারম্যান ১১ নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ) তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
অভিভাবকদের শুধু আশারবাণী ছাড়া এখনও কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ঝুঁকিপূর্ণ এ বিদ্যালয়টির শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকগণ, ছাত্র -ছাত্রী ও এলাকার সচেতন মহল দূর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকতার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।