সাতক্ষীরার শিশুটির খাওয়া কথা বন্ধ নাকে মুখে সর্দি লালা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছয় মাস ধরে শিশুটির স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া বন্ধ। কথা বলতে পারে না। নাকে মুখে সব সময় ঝরছে সর্দি লালা। এভাবে এক অস্ফুট যন্ত্রণার মধ্যে কাটছে ছোট্ট শিশু সাব্বিরের দিন। শিশুটির মা ওকে কোলে নিয়ে চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনো উপকার হচ্ছে না। তার মুখমণ্ডল এখন ফুলে উঠছে।

শিশুটির নাসারন্ধ্র দিয়ে টিউবের মাধ্যমে খাদ্যনালীতে পৌঁছানো হচ্ছে দুধ অথবা তরল কোনো খাদ্য। তাতেও শিশুটির অস্বস্তি, যন্ত্রণা। টিউব খোলা কিংবা লাগানোর সময় তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে সাব্বির । চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন আর টাকাও নেই , চিকিৎসা করানোর সাধ্যও নেই গরিব পরিবারটির। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

শিশু সাব্বিরের মা সাতক্ষীরা শহরতলির কদমতলা গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন মাস ছয়েক আগে বাড়ির উঠোনে খেলতে খেলতে পড়ে গিয়েছিল তিন বছরের শিশু সাব্বির। ঘরে তুলে এনে দেখা গেলো নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। তাকে নেওয়া হয় সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে। পরে খুলনায়। এরপর সাব্বিরকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার শিশু হাসপাতাল থেকে পরে ঢাকা মেডিকেলে। তিনি জানান তার রক্ত বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু শিশুটি তো কথা বলতে পারছে না। অথচ সে আগে কথা বলতো। স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করতো। এখন এর কিছুই পারে না। নাকে পাইপ ঢুকিয়ে রাখতে হয়। এই পাইপ দিয়েই চলে তার দুধ জাতীয় তরল খাবার। তিনি জানান তার কণ্ঠনালীতে মার্বেল আকৃতির একটি বস্তু আছে বলে অনুমান করা যায়। যে কোনো খাবার সে চিবুতে পারে । কিন্তু তা সে গিলতে পারে না। গলায় বেধে যায়। খাবার উগরে দেয়। সব সময় নাক দিয়ে সর্দি লালা ঝরছে। কোনো সহৃদয় ব্যাক্তি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে দরিদ্র সাব্বির পরিবার কৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানিয়েছেন তার মা রহিমা খাতুন ও বাবা আলমগীর হোসেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)