পৈত্রিক সম্পত্তি দখল,মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পুরাতন সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুরাতান সাতক্ষীরার নূর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন সাতক্ষীরা সদরের দহাকুলা মৌজার জি, এস ৯৭৫/৪ এস এ খারিজ খতিয়ান নং- ৯২৯/৫/১ সাবেক ২৯২৩ বর্তমান ৯২০৮ দাগে ১শতক জমি আমার দেবর রফিকুল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন। আমার শ্বশুরের মৃত্যুর পর দেবর রফিকুল ইসলাম তার ভাগের সম্পত্তি গোপনে বাগানবাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী আনজুয়ার পারভীনের কাছে বিক্রয় করেন। জমি বিক্রয়ের কয়েকদিন পর আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তি ফেরতের জন্য সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জামানাত করেন। আদালত আমার স্বামীর জামানতের মামলাটি গ্রহণ করে সকল কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে ০৮.০৬.২০০৪ সালে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের স্ত্রীর টাকা ফেরত পূর্বক সম্পত্তি আমার দখল নেওয়ার জন্য রায় দেন। ১৪/২/২০০৭ সালে সাতক্ষীরা জজকোর্ট এবং ১.০১.২০১৮ তারিখে হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দেন।
তিনি আরো বলেন আদালতের রায় থাকার পরও আমরা এখনো পর্যন্ত ওই সম্পত্তিতে যেতে পারিনি। আমরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং অসহায় হওয়ার কারণ ওই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অগাধ টাকার মালিক হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আমার স্বামীকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করছে। ওই সম্পত্তিতে গেলে আমাদের স্ব পরিবারে হত্যা করবে, মারপিট করবে এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৩/০৪/২০১৯ তারিখে আকস্মিকভাবে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে তার পুত্র শেখ মমিনুর রহমান তপু, শেখ জামিনুর রহমান অপু, শেখ ইহছানুর রহমান দিপুসহ ১০/১৫ জন ব্যক্তি অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার স্বামীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের লোহার রড নিয়ে তাড়া করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে। এতে আমার স্বামী নুর ইসলাম গুরুতর আহত হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপরও তারা প্রকাশ্যে আমাদের খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাছে। আমরা তাদের ভয়ে ভীতুসস্থস্ত্র হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। সংবাদ সম্মেলনে মো. লাবলু ও মো. ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী ওই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং পুত্ররা কর্তৃক মারপিট ও হুমকি ধামকির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।