নববর্ষে দেশাবাসীকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

বাংলা নববর্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল শনিবার পৃথক বিবৃতিতে তারা প্রত্যাশা করেন, বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে, অসুন্দর ও অশুভ পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ জাতীয় জীবনে আরো সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।

তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ উৎসব সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক। প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা বিকাশের প্রবল শক্তি নিয়ে উপস্থিত হয়।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলা নববর্ষ তাই কেবল আনুষ্ঠানিকতানির্ভর কোনো উৎসব নয়; বরং তা বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শিকড় সন্ধানের অবিনাশী চেতনাবাহী দিন।

তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে, যা বাঙালি হিসেবে বিশ্বের বুকে আমাদের মর্যাদাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঋদ্ধ। যেখানে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বা সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক বাণীতে তিনি বলেন, আসুন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের গ্লানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনা-পাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পয়লা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে-মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)