তালায় বোর চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত:দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
তালা উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের হয়েছে । কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক বইতে শুরু করেছে তেমনি দুশ্চিন্তার আভাস দেখছে । তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো চাষাবাদ হওয়ায় খুশি উপজেলা কৃষি অফিস ।
সরজমিনে,উপজেলা মাঠ,ঘের,বিল গুলোর দিকে চোখ গেলে দেখা যায় শুধু ধান আর ধান। সব এলাকায় সবুজ ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমির ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক দিন গুণছেন। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেতের ধানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের সকল পরিচর্যা শেষে ধান তোলার সময় শিলাবৃষ্টি কৃষকের হাসি ম্লান করে দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার সহ কয়েকদিন উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেতের ধান হেলে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি জমে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর অধিক জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। তবে চাষাবাদের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপকহারে বোরো চাষ হয়েছে। অনেক নিচু এলাকার জমিতেও ধান চাষ করা হয়েছে।উপজেলার শতকরা ৮০ জন কৃষকই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৯ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫-৮ হেক্টর জমিতে বেশি ধান চাষ হয়েছে। এ বছর জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার তালা, ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া,জালালপুর, মাগুরা, খলিলনগর, খেশরাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে।
তালা সদরের কৃষক রাহাত জানান, আবহাওয়ার কারণে এ বছর আমাদের ব্লকে বর্তমানে কেমন ধান হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমার ব্লকে ব্রি-ধান ২৮ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেশ দুশ্চিন্তায় আছি, ধান ঘরে না ওঠা পর্যন্ত চিন্তার শেষ নেই। অপরদিকে গোপালপুর গ্রামের কৃষক গণেশ রায় জানান, গত বছরের তুলনায় ধান ভাল না, কিন্তু রোগ-বালাই কম আছে। এ বছর আমাদের এলাকায় ধানের ফলন খুব ভাল দেখা যাচ্ছে, যদি আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে বাম্পার ফলন হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ে কিছু কিছু এলাকায় ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।এবার ব্রি-ধান ২৮ জাতের ধান বেশি পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। তাছাড়া ৬৭, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষ্ণু ধানের চাষ করা হয়েছে।উপজেলার সকল এলাকায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করায় রোগবালাই কিছুটা কম আছে। আগাম পরামর্শ দেওয়ায় ব্লাস্ট রোগ তেমন চোখে পড়েনি।