মোদিই হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী!
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বশেষ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক পোলিং এজেন্সি সি-ভোটার। এতে সি-ভোটারের ভোটপ্রাপ্তির হার ও সম্ভাব্য আসন সংখ্যায় বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট।
সমীক্ষা বলছে, গেল বারের থেকে ৬০টি কমে বিজেপি এবার একা পেতে পারে ২২২ আসন। আর এনডিএ’র বাকি শরিকদের মিলিয়ে ২৬৭। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ৩০.৭ শতাংশ ভোট পেলেও বড় জোর ১৪২ আসন পেতে পারেন তারা। তৃণমূল, বাম, এসপি, বিএসপি বা আপের মতো দুই জোটের বাইরের দলগুলো পেতে পারে ১৩৪ আসন। মোট ভোটের ২৭.৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে এ দলগুলো।
মার্চের প্রথম দিন থেকে এপ্রিলের ৫ তারিখ পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মতামত যাচাই করে সি-ভোটার জানাচ্ছে, সরকার গড়ার খুব কাছাকাছি এসে পৌঁছাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গড়তে যেখানে ২৭২ আসন দরকার, শরিকদের নিয়ে মোদির জোট এনডিএ ২৬৭ আসন পেতে পারে। ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে এ জোট।
তবে এসব সমীক্ষা অনেক সময়ে একেবারেই মেলে না। রাজনৈতিক দলগুলোও এ সমীক্ষাকে গুরুত্ব দেয় না। তবে এ সমীক্ষায় জনমতের একটি প্রতিফলন পড়ে বলে মনে করা হয়।
সি-ভোটারের দাবি, এক মাসেরও বেশি সময়ে দেশের বিভিন্ন অংশের ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে তারা এ সমীক্ষার ফল তৈরি করেছে।
গেল লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২৮২ আসন। এবার অমিত শাহের দল ৬০ আসন খুইয়ে ২২২ আসন পেতে পারে বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
শিবসেনাসহ এনডিএর অন্য শরিক দলগুলো ৪৫ আসন পেতে পারে বলে জানাচ্ছে সি-ভোটারের সমীক্ষা।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের ৪৪ আসন এবার অনেকটা বাড়লেও রাহুল গান্ধীর দল তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারছে না বলে ধারণা করছে সমীক্ষাটি।
ইউপিএর শরিক দলগুলো ৫১ পেলেও কংগ্রেসের আসন ৯১টির বেশি বাড়ছে না বলে সি-ভোটারের পূর্বাভাস। তবে কংগ্রেস জোট ৩০.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে জানিয়েছে সমীক্ষা।
দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর মহাজোটের কাছে অমিত শাহের দল বেশ কিছু আসন খোয়াতে পারে বলে সি-ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
গেল নির্বাচনে এ রাজ্যে ৮০টির মধ্যে ৭৩টি-ই পেয়েছিল বিজেপি ও তাদের শরিকরা। এবার তা ৩২-এ দাঁড়াতে পারে। মহাজোট পেতে পারে ৪৪ আসন। আলাদা লড়ে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে চার আসন পেতে পারে বলে সমীক্ষার ফলে উঠে এসেছে।
আবার বিহারে রামবিলাস-নিতীশের সঙ্গে বিজেপির জোট ৪০টির মধ্যে ৩৪ আসন পেতে পারে। লালু ও কংগ্রেস জোট পেতে পারে ছয়টি। গুজরাটেও ২৬টির মধ্যে ২৪ আসন পেতে পারে বিজেপি।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হারলেও কয়েক মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে ২৯টির মধ্যে ২৩ আসন পেতে পারে এনডিএ। মহারাষ্ট্রেও ৪৮টির মধ্যে ৩৫ আসন পাওয়ার সম্ভাবনা এনডিএর। ইউপিএ এ রাজ্যে পেতে পারে ১৩টি আসন।
দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি বিপুলভাবে জিতলেও লোকসভায় তারা কোনো আসন পাচ্ছে না বলেই এ সমীক্ষার ধারণা। সাতটি আসনই জিততে পারে এনডিএ।
আবার পঞ্জাবে ১৩ আসনের মাত্র একটি মোদির জোট জিততে পারে বলে পূর্বাভাস মিলছে। বাকি ১২টি পেতে পারে ইউপিএ।
আসছে বৃহস্পতিবার ভারতে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা