বাংলাদেশ ও ভারতে বন্ধ হচ্ছে টিকটক
বাংলাদেশের অনুসরণে টিকটিক অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছেন ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এই চাইনিজ মোবাইল অ্যাপটি নিষিদ্ধ করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, টিকটক অ্যাপের কনটেন্ট অনুপযুক্ত৷
এখানে পর্ণগ্রাফির মতো কনটেন্টও রয়েছে যা কমবয়সীরা সহজেই নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়ারা যেভাবে অনলাইনে অপরিচিতদের সাথে নিজেদের এক্সপোজ করছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেঞ্চ।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এন কিরুভাকরণ ও বিচারপতি এসএস সুন্দরের নির্দেশে তিনটি বিষয় উঠে আসে। প্রথমত, টিকটক মোবাইল অ্যাপকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, টিকটক মোবাইল অ্যাপে তৈরি কোনো ভিডিও মিডিয়া সম্প্রচারিত করতে পারবে না।
তৃতীয়ত, কমবয়সীদের বিশেষত ১৮’র কম বয়সীরা যাতে সাইবার অপরাধের শিকার না হয় তা আটকাতে আমেরিকার মতো চিলড্রেনস অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।
বিচারপতিরা তাদের নির্দেশে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন। এই দুই দেশে নিষিদ্ধ টিকটক। যদিও বাংলাদেশে গুগল প্লে স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাচ্ছে। তবে অ্যাপটি চলছে না। অবশ্য কেউ কেউ ভিপিএন এর মাধ্যমে টিকটক চালাচ্ছেন দেখা গেছে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতিরা আরো বলেন, এই অ্যাপের আসক্তির জেরে কমবয়ীরা ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে। মাদুরাইয়ের এক আইনজীবী ও সমাজকর্মী মুথু কুমার টিকটককে নিষিদ্ধের দাবিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন।
পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন, এই মোবাইল অ্যাপে অতিরিক্ত আসক্তির জেরে কমবয়সীদের মধ্যে সংস্কৃতির অবনতি ঘটছে। পর্ণগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। শিশুনিগ্রহ বাড়ছে।
ভারতে প্রতিমাসে ৫৪ মিলিয়ন টিকটক ব্যবহার করে। ২০১৮ সালে বেজিংয়ের ননগেম মোবাইল অ্যাপটি ছিল ছিল চতুর্থ ডাউনলোডেড অ্যাপ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। সূত্র: খোঁজখবর