কুলিয়ায় ডিসিআরকৃত জমির স্থাপনা ভাংচুরের ঘটনায় আসাদুল হকের সংবাদ সম্মেলন
দেবহাটার কুলিয়াতে দীর্ঘদিনের ডিসিআরকৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তির স্থাপনা অবৈধভাবে ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুলিয়াস্থ তার নিজস্ব বাগান বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনকালে লিখিত বক্তব্যে আসাদুল হক বলেন, দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুলিয়া মৌজার ২নং খতিয়ানের ৫৭৫, ৫৭৬ ও ৫৭৭ দাগের ১৫শ বর্গফুট জমি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নিকট থেকে নিয়ম মোতাবেক ডিসিআর নিয়ে আমার স্ত্রী মেহেরুন নেছা বিগত ১৩/১৪ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছে। ইজারা গ্রহণের প্রথম দিকে উক্ত জমিটি কৃষি শ্রেণির থাকলেও পরবর্তীতে আমার স্ত্রী মেহেরুন নেছার নামে ওই সম্পত্তিটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইজারা দেয় জেলা পরিষদ। যার ইজারা কেস নং সাত:/জেপ:/দেবহাটা/৬৫ (অংশ-১)/২০১১-১২। প্রতিবছর আমার স্ত্রী সরকারী নিয়ম মোতাবেক ইজারার টাকা পরিশোধ পরবর্তী সম্পত্তিটির সুষ্ঠু ভোগদখলে থেকে অন্যান্য স্থানের ন্যায় ইজারাকৃত জমিটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সেখানে দোকান ঘরের স্থাপনা নির্মাণ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরের জন্য সম্পত্তিটির ইজারার নবায়ন চেয়ে আমার স্ত্রী মেহেরুন নেছা জেলা পরিষদে লিখিত আবেদন জানালে আবেদনটি জেলা পরিষদের আগামী ১১ এপ্রিলের সভায় নিষ্পত্তি হওয়ার কথা উল্লেখ পরবর্তী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই সম্পত্তিটির ইজারা নবায়ন করতে হলে আমার স্ত্রী মেহেরুন নেছা ও আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে জেলা পরিষদ সদস্য মিলির স্বামী কুলিয়ার আব্দুল হান্নানের ছেলে চিহ্নিত মাদকাসক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে বস পাগল। লিখিত বক্তব্যে আসাদুল হক আরো বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন একাধিকবার উক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে বস পাগলকে মাদক সহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করায় পূর্ব থেকেই সে ও তার স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য মিলি আমার ওপর ক্ষিপ্ত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই বার বার ৩লক্ষ টাকার চাঁদা দাবী করে আসছিলো। কিন্তু আমি ও আমার স্ত্রী মেহেরুন নেছা তাদের দাবীকৃত ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মঙ্গলবার সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে পূর্বের কোন নোটিশ ছাড়াই জেলা পরিষদ সদস্য মিলি ও তার মাদকাসক্ত স্বামী মোস্তাফিজ লোকজন নিয়ে আমার স্ত্রীর ডিসিআর কৃত জমিটির নির্মাণাধীন স্থাপনা ভাংচুর করে। এসময় আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কাছে স্থাপনা ভাংচুরের কারণ জানতে চাইলে তারা তাদের দাবীকৃত ৩লক্ষ টাকা চাদার কথা উল্লেখ সহ আমাকে খুন-জখমের হুমকি দিতে থাকে। শুধু তাই নয় অদ্যাবধি উক্ত জেলা পরিষদ সদস্য শাহানাজ পারভীন মিলি ও তার স্বামী মোস্তাফিজ লোকজন দিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন ভাবে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ সহ অবৈধভাবে ডিসিআরকৃত সম্পত্তির স্থাপনা ভাংচুরের বিষয়টি তদন্ত পরবর্তী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।