ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংসে চিন্তিত নাসা

ভারতীয় লো অরবিট স্যাটেলাইটটির বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ তো মহাকাশেই থাকছে। ফলে অরবিটাল ডেবরিস বা অন্তরীক্ষ বর্জ্য আরো বেড়ে গেল। যা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

ভারতের ‘মিশন শক্তি’-কে ‘খুব ভয়াবহ ব্যাপার’ বলেই আখ্যা দিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মার্কিন এই গবেষণার সংস্থার চিন্তার বিষয় হল, ভারতের লো অরবিট স্যাটেলাইটের বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে থেকে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

তীব্র গতিতে ঘোরাঘুরি করা ওই বর্জ্য যে কোনো মুহূর্তে আঘাত হানতে পারে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

মহাকাশে বর্জ্য নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই উদ্বিগ্ন মহাকাশ গবেষকরা। কারণ ওই বর্জ্যগুলি সব মহাকাশে দ্রুত গতিতে চলাচল করছে। ভারতের অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষার ৫ দিন পরে সোমবার নাসা’র বিজ্ঞানী জিম ব্রাইডেনস্টাইন কর্মীদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতের ধ্বংস হওয়া লো অরবিট স্যাটেলাইটটি গুঁড়িয়ে ৪০০টি ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি করেছে।

ধ্বংসাবশেষগুলি আকারে বেশ বড় ও বিপজ্জনক৷ তার কথায়, ‘অবজেক্ট বা ধ্বংসাবশেষগুলি বেশ বড় আকারের। সহজেই ট্র্যাক করা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি অবজেক্ট ট্র্যাক করা গিয়েছে, তা গড়ে ৬ ইঞ্চির বেশি আকারে বড়। ৬০টি ধ্বংসাবশেষের গতিবিধি চিহ্নিত করতে পেরেছে নাসা৷।

এরপরই ব্রাইডস্টাইন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ও বিপজ্জনক। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কাছাকাছিই লো অরবিট স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করেছে ভারত। স্পেস স্টেশনের পক্ষে যা মারাত্মক আশঙ্কার। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের এই কীর্তি আমাদের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা মানুষকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত নাসা’র। হিউম্যান স্পেস ফ্লাইটের ভবিষ্যতের পক্ষেও এই ধরনের কাজ অত্যন্ত নিন্দাজনক ও বিপজ্জনক৷।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)