টাকা আত্নসাৎয়ের সুযোগ না পেয়ে মাছুম ও সভাপতি খেপেছে প্রধান শিক্ষকের উপর
বিভিন্ন সময়ে খবরদারি স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করতে না পেরে দেবহাটা পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, সভাপতি নুর মোহম্মাদ অনিয়ম ও দুর্নীতির চাদরে মুড়ে রাখতে চান পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি । কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের জন্য তিনি কোন প্রকার অনিয়ম করতে পারেননা। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প, স্লিপ,প্রাক ও রুটিনের টাকা আত্মসাৎ করতে সব সময় মরিয়া হয়ে আছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। কিন্তু তিনি বিদ্যালয় থেকে কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা না নিতে পেরে বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে চলেছে।
সভাপতির সাথে রয়েছেন আরেক দুর্নীতিবাজ ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মমতাজ পারভীনের স্বামী ডিসি অফিসে মাষ্টার রোলে কর্মরত দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মাছুম হোসেন। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ডিসি অফিসে চাকরি করে এজন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকদের বদলী করার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন তার কথার বাইরে কোন শিক্ষক গেলে ওই স্কুলে চাকরি করা হবেনা।
এছাড়া প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকে বদলী করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তারা। তার একটাই কারণ প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন ওই বিদ্যালয়ে থাকলে সভাপতি ও কুচক্রী সদস্যরা কোন অনিয়ম করতে পারবেনা। বর্তমান প্রধান শিক্ষককে বদলী করে নিজেদের হাতের শিক্ষক আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কমিটির কয়েকজন সদস্যরা।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন বলেন,ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা কোন প্রকার অনিয়মের সুযোগ না পেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। এবং তাকে ওই বিদ্যালয় থেকে বদলী করার জন্য তদবীর করছেন।
এবিষয় মাছুম হোসেন বলেন তার স্ত্রী মমতাজ পারভীন স্কুলের অভিভাবক সদস্য। তার ছেলেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নির্যাতন করে ছিল এজন্য ম্যানেজিং কমিটিকে বিষয়টি জানিয়ে ছিলেন। তাছাড়া তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।সত্যতা জানার জন্য পুষ্পকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরমোহম্মাদের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি সর্ম্পকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার মল্লিক জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের সাথে বিরোধ চলছে এজন্য বিভিন্ন সময়ে সভাপতি অনেক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেটি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মনির আহম্মেদের উপর তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মনির আহম্মেদ বলেন, ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগের কপি পেয়েছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন জানান,স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।