সাতক্ষীরার ছেলে পীযুষের বর্জ্য নিয়ে বিস্ময়কর উদ্ভাবন
★বর্জ্য কনো সমস্যা নয়, বর্জ্যই সম্পদ।
★শুধু মাত্র গৃহস্থালির বর্জ্য দিয়েই বাংলাদেশের ৩০% জ্বালানি এবং সম্পূর্ণ জৈবসারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
★৮ মাসের মধ্যে প্লান্ট ব্যয় উঠে আসবে।
প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে পৃথিবীর জনসংখ্যা আর সেই সাথে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শহর। আর আমাদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে গৃহস্থালির বর্জ্য আর্বজনা। যেটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিনিয়ত বেগ পেতে হচ্ছে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন গুলোকে।
বর্জ্য শুধু মাত্র আমাদের দেশের সমস্যা নয়, এটা সমগ্র বিশ্বের জন্যও একটা বড় মাথা ব্যথার কারণ।এটা যেমন পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ তেমনি জীবকুলের উপর ও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিকর।
প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ ও পাখি মারা যায় শুধু মাত্র প্লাস্টিক দূষণের কারণে।মৃত তিমি,হাঙ্গর,ডলফিনের পেট থেকে বেড়িয়ে আসছে প্লাস্টিক। বর্জ্য আবর্জনাকে যেখানে ফেলা হচ্ছে তার আশেপাশের জমিতে ফসল হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একসময় বিপন্ন হবে আমাদের জীব বৈচিত্র্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু কেউই এর কনো সঠিক ব্যবস্থাপনা বেড় করতে পারছে না।
আর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সাতক্ষীরা সদরের ছেলে পীযুষ ও রাজবাড়ির রন্জু বিগত একবছর ধরে একটা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । এবং অবশেষে সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছে। বর্জ্য সমস্যার শুধু সমাধানই নয়,বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে তরুণ এ গবেষক দল । আমাদের এ গবেষণা কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দুজন শিক্ষক সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে এবং গবেষণা কার্যক্রমে সার্বিক আর্থিক সহযোগিতা করেছেন ABC Construction chemical company Ltd. আমাদের এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত প্লান্টের বৈশিষ্ট্য হলো,
*সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব
*সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়
*এখান থেকে নতুন করে আর কনো বর্জ্য উৎপাদন হবে না
*প্লান্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী, বিদ্যুৎ প্লান্ট নিজেই সরবরাহ করবে।
বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে প্রাপ্ত পণ্য গুলো
★জ্বালানি তেল
★পেট্রোলিয়াম গ্যাস
★ড্রাই আইস
★ বায়ো ইথানল
★এক্টিভেটেড কার্বন
★হাইড্রোক্লোরিক এসিড
★জৈব সার
এবং সরকারের সহযোগিতা পেলে ইউরিয়া সারও তৈরি করা সম্ভব। আমাদের জৈবসারে মৌলিক খনিজ উপাদানের শতকরা হার অনেক বেশী, যা মাটির গুন-গুন ধরে রেখে মাটিকে করবে উর্বর।