পাটকেলঘাটায় তুবা পাইপ এন্ড ফিটিং ইন্ডাঃ এর ১ কোটি টাকার উৎপাদিত পণ্যের ক্ষতি

সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ভৈরবনগর থেকে মিঠাবাড়ীর ১ কিলোমিটার আ লিক রাস্তার কাজে ব্যবহৃত ইট, খোয়া, পাথর মিক্সচার করায় কালো ধোয়া ও মিশ্রিত পিচে পাটকেলঘাটার কাপাসডাঙ্গায় তুবা পাইপ এন্ড ফিটিং ইন্ডাষ্ট্রিজ এর জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, পাটকেলঘাটার ভৈরবনগর থেকে মিঠাবাড়ী অভিমুখের এল জি ইডির’র ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত ১ কিঃ মিঃ রাস্তা সংস্কারসহ পিচের ঢালাইয়ের কাজের দায়িত্ব পায় সাতক্ষীরার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ইকবাল জোয়াদ্দার। গত ২৭ মার্চ রাস্তার কাজের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে তুবা পাইপ এন্ড ফিটিংস ইন্ডাঃ এর সামনে পাথর, পিচ, খোয়া, বালু রাখলে তুবা পাইপের মালিক মীর শাহীন ঠিকাদারের লোকজনকে অনুরোধ করে সেখানে না রাখার জন্য। শাহীনের কথা না শুনে ২৮ তাং সকালে যশোরের মেসার্স এ-কে এন্টার প্রাইজ নামের মিক্সচার মেশিন দিয়ে বালু, সিমেন্ট,পাথর মিক্সড করার সময় বাতাসে কালো ধোয়া ও মিশ্রিত পিচ উড়ে তুবা পাইপ ফ্যাক্টরির মধ্যের সদ্য উৎপাদিত প্রায় ১ কোটি টাকার পাইপে ধুলা বালু কালো পিচের স্পট পড়ে যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল কাদের সরেজমিনে এসে মিক্সচার মেশিন ১০ হাত সামনে সরিয়ে নিয়ে কাজ করার শর্তে ঠিকাদার ও শাহীনের মধ্যে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করে দেয়। তার পরেও মিক্সচার মেশিন না সরিয়ে কাজ করতে থাকে। এসময় বাধ্য হয়ে তুবা পাইপ ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় মালিক শাহিন।
বিষয়ে তুবা পাইপ এন্ড ফিটিং ইন্ডাঃ এর মালিক মীর শাহীন জানান, তুবা পাইব ফ্যাক্টরি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে মিঠাবাড়ী ভৈরবনগর রাস্তার কাজ চলছে ফ্যাক্টরির সামনে এসব রেখে আমার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যের কারন কি? আমার ফ্যাক্টরিতে নিয়োজিত ৬৫জন কর্মচারীর ৩দিন কাজ বন্ধ। আমার অর্ডারকৃত পাইপের প্রায় ৯০ ভাগ স্পট পড়ে গেছে যেগুলো বিক্রির অযোগ্য। সরকারী সকল নিয়ম নীতি মেনে আমিও এখানে ফ্যাক্টরি করেছি। প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে।

অপর দিকে রাস্তার কাজের ঠিকাদার ইকবাল জোয়াদ্দার বলেন, সরকারী ও জন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করায় তুবা পাইপ ফ্যাক্টরির মালিক মীর শাহীন বাধা প্রদান করেন। ভৈরবনগর থেকে মিঠাবাড়ীর ১ কিঃ মিঃ রাস্তার পিচের কাজের জন্য পিচ মিক্সড করার জন্য পার্শ্ববর্র্তি তেমন কোন জায়গা না পাওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও, এসডি, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে ওখানে মিক্সচার মেশিন দিয়ে মিক্সড করে রাস্তার কাজ শেষ নামানো হয়েছে। এটা সরকারী কাজ ও উন্নয়ন মূলক কাজ এখানে ফ্যাক্টরির কোন মালামালের ক্ষতি হবে এটা আমাদের কাম্য নয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)