তালার ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বেহাল অবস্থা,৩ রুমের ২টি তালা বদ্ধ
তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অফিসের বেহাল দশা। অফিসের কক্ষেই রাখা হয়েছে ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার ভিজিটর রোমানা আক্তারের স্বামী আলামিন হোসেনের মোটরসাইকেল। কক্ষটিতে চেয়ার টেবিল থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মী সেখানে বসেন না। ভেতরে ধুলাবালিসহ রয়েছে মাকড়শার জাল। অফিসের তিনটি কক্ষের একটিতে মোটরসাইকেল অন্য কক্ষ দুইটি তালাবদ্ধ। সরেজমিন পরিদর্শনে ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অফিসে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তালাবদ্ধ অফিস কক্ষের বাইরে পাওয়া যায় ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার ভিজিটর রুমানা আক্তারকে। জানতে চাওয়া হয় সেখানকার সেবাদানের কার্যক্রমের বিষয়ে। তিনি বলেন, এখানে মা ও শিশুর গর্ভকালীন সেবা ও প্রসব সেবা দিয়ে থাকি। মাসে ৮ দিন সেশন করে সেবা প্রদান করি। গর্ভবতী মায়েদের পরামর্শমূলক সেবা দেই। এখানে কার্যক্রম সব ঠিক রয়েছে। মিটিংয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এখন সেখানে যাব।অফিসের বাকি স্টাফদের বিষয়ে ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার ভিজিটর বলেন, ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইন্সপেক্টর কাজী লিমনুজ্জামান মিটিংয়ে রয়েছেন। আর বাকি দুই জন ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন ফিল্ডে। অফিসে মোটরসাইকেল রাখা ও ইন্সপেক্টর কাজী লিমনুজ্জামানের কত দিন অফিসে আসেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে আমার স্বামী এখানে মোটরসাইকেল রাখেন। আর লিমনুজ্জামান সাতদিন আগে ট্রেনিংয়ে গেছেন। তবে এ অফিসে আসলেও তিনি কক্ষে বসেন না। ফিল্ডে কাজ থাকে। কোনো মিটিং থাকলে তখন বসেন। অফিসে না যাওয়া ও অফিস কক্ষেই মোটরসাইকেল রাখার বিষয়ে জানতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইন্সপেক্টর কাজী লিমনুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন খাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, এই অফিসের কার্যক্রমের বিষয়ে কিছু জানা নেই। তাছাড়া তারা কী ধরনের সেবা প্রদান করেন সেটিও জানি না।
ঘটনার বিবরণ শুনে ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ সেন বলেন, অফিসটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করছে এটা আমার জানা নেই। তবে আমি ঘটনার তদন্ত করব।
অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক রওশন আরা বলেন, আমরা গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। ইউনিয়ন সাব অফিসগুলোও একইভাবে দায়িত্ব পালন করে। তবে ইসলামকাটি ইউনিয়ন অফিসের বিষয়গুলো আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখছি।