বেড়েছে মাথাপিছু আয়
অর্থবছর শেষ হতে এখনো বাকী তিন মাস। এরইমধ্যে গত ছয় মাসের ব্যবধানে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০৯ ডলার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে গত ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫৮ মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছর বেসরকারি বিনিয়োগ কমেছে। তবে আশা করছি সামনের বছর থেকে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি, যাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা আবারো ফিরে আসেন।
মন্ত্রী বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি খুব ভালো ছিল। তাই প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। যেমন-রফতানি, বিনিয়োগ, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবস্থা ভালো ছিল। তিনি জানান, ২০২০ সালের পর পরবর্তী চার বছরে প্রবৃদ্ধি ডবল ডিজিটে পৌঁছাবে।
অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল জানান, বর্তমান অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছাড়াবে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মূলত শিল্প খাতের হাত ধরে প্রবৃদ্ধির আকার বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির আকার দাঁড়াবে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর যা ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা।
প্রবৃদ্ধি সাধারণত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এরমধ্যে এবার শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গত অর্থবছর ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়া, কৃষি খাতে এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।