প্রেম ঘটিত কারণে মার খেয়ে যুবক হাসপাতালে ভর্তি
তালার সীমান্তবর্তী মেষারডাঙ্গায় প্রেমঘটিত কারণে এক যুবককে নির্মমভাবে মারপিট ও শরীরে পয়জন প্যুশ করে বেহুঁশ অবস্থায় বাড়িতে ফেলে দিয়েগেছে প্রতিপক্ষ। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেষারডাঙ্গা গ্রামের সমীর বৈরাগীর ছেলে জগদীশের সাথে সোনাবাধাল গ্রামের শংকর মন্ডলের মেয়ে সুস্মিতা মন্ডল ওরফে পপির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২ মাস পূর্বে সুস্মিতার সাথে যশোরের রূপদিয়া গ্রামের বিশ্বেসর মল্লিকের ছেলে প্রশান্তের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর ছেলে পক্ষ তাদের প্রেমের কথা জানতে পেরে বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সুম্মিতারা বাবার বাড়ি আসে ৩/৪ দিন পূর্বে। এরই জেরধরে ১৩ মার্চ ছেলেপক্ষ ও মেয়ের পিতৃপক্ষ রাত্র ১০ টার দিকে জগদীশকে মোবাইলে ছলনা করে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়।
সেখানে গেলে তারা জগদীশকে নির্মম ভাবে মারপিট করে ও শরীরে এক ধরণের বিষ প্রয়োগ করে বলে তাদের ধারনা।
এদিন রাত দেড়টার দিকে তারা বেহুঁশ অবস্থায় জগদীশকে তাদের (জগদীশদের) বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে যায়। তার গোঙানি শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন জেগে উঠে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রথমে বুধহাটার একটি ক্লিনিকে, পরে সাতক্ষীরা হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনা গাজী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
সেখানে আইসিকিউতে ৪ দিন রাখার পর সোমবার খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন যখন সন্তানের জীবন-মরণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন (১৪ মার্চ) মেয়ের পিতা শংকর মন্ডলের ভাড়া করা ১৫/২০ জনের সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী জগদীশদের বাড়িতে গিয়ে তার ভাইকে হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। গ্রাম ও পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। ১৪ মার্চ জগদীশের ভাই ফনিন্দ্র বৈরাগী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদেরকে আসামী করে তালা থানায় মামলা (নং-৭) রুজু করেছেন।