দেশে মোবাইল কারখানা করছে আরো ৫ ব্র্যান্ড
গতবছর ওয়ালটন, সিম্ফনি, স্যামসাং, আইটেল-ট্র্যানসান ও ফাইভস্টার বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে সংযোজিত হ্যান্ডসেট বাজারে এনেছে। চলতি বছরে নতুন করে আরো ৫ কোম্পানি দেশে মোবাইল কারখানা করেছে। এ নিয়ে মাত্র দেড় বছরে দেশে সংযোজন কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ টি।
গাজীপুরের উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশের এলাকায় স্থাপিত লাভার কারখানা। ২৭ হাজার স্কয়ার ফিটের এই কারখানার লোকবল প্রায় আড়াই’শ। ২০১৯ সালের ফ্রেবুয়ারিতে লাইসেন্স পেয়েছে কোম্পানিটি। লাভা মোবাইলের কারখানা স্থাপনকারী কোম্পানি গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সিরাজুল হক জানান, চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে সংযোজিত হ্যান্ডসেট বাজারে আনতে পারবেন তারা। এখন পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে।
লাভা কর্তৃপক্ষ জানায়, শুধু স্মার্টফোন তৈরি করলে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে তাদের কারখানার। এটি যদি শুধু ফিচার ফোন হয় তাহলে হবে দেড় লাখ। দেশে কারখানা করার কারণে তাদের ফোনের ১০ শতাংশ দাম কমবে।
ওকে মোবাইলের ফ্যাক্টরি হচ্ছে টেসিসে। পাঁচ বছর আগে সরকারের কোম্পানির সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল। মাসিক ভাড়া এবং হ্যান্ডসেট বিক্রির মোট অর্থের ওপর তিন শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে। উইনস্টার মোবাইলের কারখানা সোনারগাঁও রোডে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কারখানার জন্য লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় তারা। সম্প্রতি লাইসেন্স পেয়েছে উইনস্টারের মূল কোম্পানি আনিরা ইন্টারন্যাশনাল। চলতি বছরের মার্চের ২২ তারিখ তাদের কোম্পানি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। উইয়ের কারখানা হয়েছে রাজধানীর মিরপুরে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনে এবং মোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক ছাড়ে দেশে এভাবে কারখানার করার হিড়িক পড়ে যায়। আর এই উদ্যোগে কোম্পানিগুলো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে।