পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠের পানি নিষ্কাষিত ড্রেনে স্থানীয় পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের ময়লা আবর্জনায় দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে
পাটকেলঘাটার ফুটবল মাঠের চারিপাশের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটির উপর দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ও দোকানীরা ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখায় পচে চরম দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পানি নিষ্কাষণ না হওয়ার কারণে জমাটবদ্ধ পানি বিকট গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পথচারীদের দম বন্ধ করে নাক ঢেকে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে সকলের মনে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাঠটি অভিভাবকহীন ভাবে পড়ে রয়েছে। এছাড়া বাজারের নেই কোন অভিভাবক!
সরেজমিনে দেখা গেছে ফুটবল মাঠের পূর্ব দিকের পানির ড্রেনের উপর স্থানীয় ব্যবসায়ী, ভাড়াটিয়া ও বাড়ীর মালিকরা প্রতিদিনের বর্জ্য ফেলে ড্রেনের পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে ফেলেছে। ফলে বর্ষার পানি নিষ্কাষিত না হওয়ায় মাঠের পানি জমে এত বিকট দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যে, পথচারিরা গালমন্দ করে নাক ঢেকে দ্রুত এ জায়গাটুকু পার হচ্ছে। এ পথে চলাচলরত নিয়মিত পথচারী শাহিনুর রহমান, রহমত আলী মিঠু, রেজাউল করিম, মেহেদি হাসান, ইমাম হোসেন বাবু, সোহরাব হোসেন সহ অনেকে জানান, মাঠের পানি সরানোর ড্রেনটির উপর আশেপাশের বাসিন্দারা ময়লা স্তুপ করে রাখার কারণে বর্ষার পানি জমে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে যে, আমাদের ঐটুকু পথ যেতে গেলে গন্ধে পেট ফুলে যাওয়ার উপক্রম হয়। স্থানীয় দোকানদার সোহরাব হোসেন, মেহেদী হাসান, আব্দুস সোবহান বলেন এ ড্রেনটিতে স্থানীয় মাংস বিক্রেতারা উচ্ছিষ্ট গুলো ফেলে। অপরদিকে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা, ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার ও স্থানীয় সহ আশপাশের বাসিন্দারা তাদের প্রতিদিনের আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করে। এ মাঠে নিয়মিত খেলোয়ার শিমুল হোসেন, আহাদ সরদার, রহিম গাজী, সিরাজ উদ্দীন, মিরাজ আলী বলেন, মাঠের ড্রেনটির মধ্যে স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে বর্ষার পানি বের হতে না পেরে মাঠে পানি জমে যাওয়ায় আমরা নিয়মিত প্রাকটিস করতে পারি না। মাঠ সংলগ্ন ব্যবসায়ী পিযুষ সাধু বলেন, আমরা ড্রেনটি পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করলেও মাঠের পূর্বপাশের বাড়ির মালিকেরা কারোর কথা ভ্রুক্ষেপ না করে ময়লা ফেলতেই থাকে। অন্যদিকে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের সামনের ড্রেনটি প্রায় ভরাট হতে চলেছে বিধায় এ পানি নিষ্কাষণের বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, আমি মিটিং করে ইউপি সদস্যদের নিয়ে টিম করে দিয়েছি যাতে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা যায়।