বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে পাচার হচ্ছে তরুণী
বেনাপোল এর পুটখালী সীমান্ত মানব পাচারের ও অবৈধ পথে পাসপোর্ট বাদে ভারতে যাওয়ার নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । এ পথে যাদের পাসপোর্ট নাই সেই সব লোক; আবার দালালদের খপ্পরে পড়ে পাচার হওয়া যুবতী, তরুণী ও শিশুদের নিরাপদ রুট হিসাবে দালালরা ব্যবহার করে থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান , এক শ্রেণির স্থানীয় দালালরা দেশের বিভিন্ন জেলার দালাল প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ এবং কমিশন এর ভিত্তিতে মানব পাচার করে থাকে। আবার ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এদেশের অনেক তরুণী মেয়েদের ভারতের বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেয়। তারা জানায় দুর দূরান্ত থেকে আসা এসব তরুণী ও অনেক গৃহবধূদের দালালরা সীমান্ত এলাকায় আটকিয়ে রেখে লাইন খারাপ সীমান্ত গরম বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয়ে তারা মুখ খুলতে পারে না।
সর্বশেষ গত শনিবার দিবাগত রাত্রে কুষ্টিয়ার রিয়া ও চাঁদপুরের শাহনাজকে ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের এক দুর সম্পর্কের মামা বেনাপোল এনে দালালদের হাতে তুলে দেয়। এবং ঐ মামা বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে চলে যায় তাদের ওপার থেকে রিসিভ করার জন্য। কিন্তু বিধি বাম এ দুই তরুণী লালসার শিকার হয় পুটখালীর কিছু মানুষ নামের নরপশুর। তাদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিত দেখিয়ে সারারাত মদ্যপবস্তায় পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের এ কাহিনী জানা জানি হয়ে গেলে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি বিষয়টি গুরুত্বর সাথে দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যে ৬ ধর্ষকদের আটক করতে সক্ষম হয়। সূত্র জানায়, বেনাপোল পুটখালীর ঘাট দিয়ে যারা মানব পাচার করে তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে। এপথে যারা মানব শিশু নারী পাচার করে থাকে তাদের সাথে যুক্ত ঐ ছয় ধর্ষক । শাহীন নামে যে ধর্ষক পলাতক রয়েছে সে ঐ গ্রামের একজন মহিলা মেম্বারের ছেলে বলে স্থানীয়রা জানান।
ধর্ষণের উদ্ধারকৃত দুই তরুণীর সাথে কথা বলতে চাইলে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এদের সাথে কথা বলা যাবে না। তবে থানার ভিতর দুই তরুণীকে স্বাভাবিক ভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে।
বেনাপোল পুটখালীর স্থানীয়রা মানব পাচার রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।