কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসনালীর নল খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী।
সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দলের সিনিয়র সদস্য ডা. সিবাস্টিন কুমার সামিকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. আবু নাসার রিজভী বলেন, সবচেয়ে ভালো সংবাদ হলো কাদের ভাইয়ের সব এক্সটার্নাল ডিভাইস খুলে নেয়া হয়েছে। তিনি এখন সম্পূর্ণভাবে সব ডিভাইস মুক্ত। আমি তার নিউরোলজিক্যাল পার্ট পরীক্ষা করে দেখেছি, নিউরোলজিক্যালি উনি হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্ট্যাবল আছেন। উনি আজকে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওনার হার্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্ট্যাবল আছে। ইনফেকশন আগের থেকে অনেক কন্ট্রোলে এসেছে। কিডনির অবস্থাও অনেক উন্নতি হয়েছে। এই মুহূর্তে তার মূল সমস্যা শারীরিক দুর্বলতা। এ দুর্বলতা দুই একদিনের মধ্যে ওভারকাম করলে ইনশাআল্লাহ আমরা ওনাকে ক্যাবিনে শিফট করে নিয়ে যাব।
অবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে শনিবার (৯ মার্চ) সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
শরীরের দুর্বলতা কেটে গেলে দু’একদিনের মধ্যে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওবায়দুল কাদের চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। তার রক্তচাপ স্বাভাবিক, হৃদযন্ত্র ও কিডনি কার্যক্ষম রয়েছে। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ছাড়া নিওরোলজিক্যাল কোনো সমস্যাও নেই।
এর আগে ডা. সিবাস্টিন চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আজ সকালে ব্রিফ করেন। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কাদেরের স্ত্রী বেগম ইসরাতুন্নেসা কাদের, ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু নাসার রিজভী।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর পর দিন ৪ মার্চ ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার পরামর্শে ওইদিনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।