কালিগঞ্জে গরীবের সরকারি বরাদ্দের মালামাল লুটে খাচ্ছে মেম্বার ও তার সহযোগী
শিশু কার্ড দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সরকারি কোন মালামালের বরাদ্দ এলে মেম্বারের ও তার সহযোগীকে টাকা না দিয়ে কোন প্রকার বরাদ্দ পায়না এলাকার কোন গরীব পরিবার। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিশু কার্ড,বয়স্কভাতা ও মাতৃসদন কালীন ভাতা ইউপি সদস্যরা গরীবদের মাঝে বিতরণ করবে।
কিন্তু টাকা না দিলে গরীবদের সরকারি কোন সাহায্য মিলছেনা এমনই অভিযোগ উঠেছে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শেখ রফিকুল ইসলাম বারী ও তার সহযোগী মতিন গাজীর বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, ইউপি সদস্য রফিকুল নিজে টাকা না চাইলেও সহযোগী হিসেবে রেখেছেন বাজারগ্রাম এলাকার মৃত হারুন গাজীর ছেলে মতিনকে। ওই ইউপি সদস্য যত অপকর্ম চালিয়ে যায় মতিনকে দিয়ে। শিশু কার্ড,বয়স্ক ভাতা ও মাতৃকালীন ভাতার অনুমোদনের জন্য লাগে তার সহযোগীর সুপারিশ।
তার কথা ব্যতীত একটি কার্ডও বিতরণ করেননা ওই ইউপি সদস্য। সুপারিশের জন্য প্রতিটি কার্ডের জন্য মতিনকে দিতে হয় দুই হাজার টাকা। চাহিদা মত টাকা দিতে পারলে মিলবে কার্ড আর দিতে না পারলে মিলবে না কোন কানাকড়ি।
সকল প্রকার সরকারি কার্ড বিতরণ করে যে টাকা রোজগার হয় মেম্বার ও তার সহযোগী দুজনে ভাগাভাগি করে নেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি সম্প্রতি মতিনের নিজের পরিবারে জন্য নিয়েছে ৫ টি সরকারি চালের ড্রাম। নিজে নিয়েছে একটি তার তিন ভাইকে দিয়েছে তিনটা ও বোনের জন্য একটি সরকারি ড্রাম নিয়েছে। ইউপি সদস্যর সহযোগিতায় এলাকার গরীবদের সুবিধা বঞ্চিত করে মতিন গড়ে তুলেছে টাকার পাহাড়।
এবিষয়ে মতিনের কাছে জানতে চাইলে মতিন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ইউপি সদস্য শেখ রফিকুল ইসলাম বারী বলেন,তার ওয়ার্ডের অধিকাংশ পরিবার গরীব। যে কয়টি সরকারি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি সব কার্ড গরীবদের মাঝে বিতরণ করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন মতিন তার কাছের মানুষ খুব ভাল ছেলে। তবে কোন অনিয়ম ও দুনীতির সাথে তিনি যুক্ত নয়। তার বিপক্ষের লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে তিনি জানান।
গরীব ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার্ড বিতরণকারী ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।