সড়ক নির্মাণ নয়, রেলওয়ের দিকে নজর দেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর নতুন করে মহাসড়ক নির্মাণের প্রয়োজন নেই। এবার রেলওয়ের দিকে নজর দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন’ বিষয়ক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন সড়কের প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত মহাসড়ক রয়েছে, এগুলো শুধু সংস্থার-মেরামত করতে হবে। এখন রেলওয়ের দিনে নজর দিতে হবে, পাশাপাশি নৌপথের দিকেও নজর দিতে হবে।
সড়ক-নৌ-রেল-বিমানের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকেও নজর দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ‘তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন’ বিষয়ক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
এ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁতীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এরপরে তাঁতীদের উন্নয়ন করতে হবে। তাদের ঋণ ডেলিভারি সহজ করতে হবে। তারা যেন নিয়মিত ঋণ পায়, সেজন্য ১০ টাকার অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে হবে। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা যখন বিদেশে যাই এবং বিদেশিদের তাঁতের উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকি, তখন বিদেশিরা অনেক খুশি হয়।
‘জয়পুরহাট জেলায় তুলশী, গঙ্গা, ছোট যমুনা, চিংড়ি ও হারবাতী নদী পুনঃখনন’ এবং ‘ঢাকা নেইবারহুড আপগ্রেডিং’ বিষয়ক দু’টি প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট নদীগুলোর দিতে নজর দিতে হবে। এগুলোকে রক্ষা করা দরকার। পুকুর ও জলাশয় রক্ষা করতে হবে, না হলে ঢাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
একনেকের বিকল্প চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।