ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারায় আ’লীগ নেতার ক্ষমা প্রার্থনা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের এস এম মোস্তফা কামাল ও মো. মোর্তজা কামাল এর চক্রান্তের কারণে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে কাগজপত্র দাখিল করতে না পারায় ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আ’লীগ নেতা মাওলানা মুহাঃ ইসমাঈল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওঃ ইসমাঈল হোসেন বলেন, তিনি শ্যামনগর উপজেলার ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি সোনালী ব্যাংক শ্যামনগর শাখায় জামানত বাবদ ১০ হাজার টাকা ও সিডি ক্রয় বাবদ উপজেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল ইসলামের কাছে ৬ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। একই সাথে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতিও গ্রহণ করেন। কিন্তু হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের এস এম আহম্মদ আলীর দুই ছেলে প্রতারক এস এম মোস্তফা কামাল ও মো. মোর্তজা কামাল নির্বাচনে অংশ গ্রহণে আমাকে বাধা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই জের ধরে তারা কৌশলে আমার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরমটি নিয়ে নেয় এবং মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফরমটি আমাকে ফিরিয়ে দেয়। আমি যাতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করতে পারি সেজন্য ওই দুই চক্রান্তকারী কৌশলে আমার সকল কাগজপত্র হাতিয়ে নিয়ে নির্বাচন থেকে আমাকে বিরত রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার সভাকাঙ্খী ও ভোটারদের ভালবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ওই চক্রান্তকারীদের কবলে পড়ে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছি। এঘটনায় আমার সভাকাঙ্খী ও ভোটাররা হয়তো আমার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন। সেকারণে এই সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে আমি আমার সাধারণ ভোটারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে আমার সভাকাঙ্খী ও ভোটারদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আগেও যেভাবে আপনারা আমার পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও ঠিক এমনভাবে পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।