৭১৫ রানে ইনিংস ছাড়লো কিউইরা, ব্যাটিংয়ে টাইগাররা

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ২৩৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৭১৫ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটে ৫৬ রান করেছে টাইগাররা। তামিম ইকবাল ৩৫ ও সাদমান ইসলাম ২১ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড গড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওপেনিং জুটির রেকর্ড। প্রথম দিন শেষে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় দিন নেমে সেই রান টেনে নিয়ে যেতে থাকার পথে হয়ে যায় এক রেকর্ডও।

দুই ওপেনার রাভাল (১৩২), লাথাম (১৬১) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২০০ রানে অপরাজিত)। সেডন পার্কে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন কেন উইলিয়ামসন।

ভেন্যুর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহটা এখন তার দখলে। শনিবার (২ মার্চ) টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চের পর দ্রুততম গতিতে রান তুলেছেন তিনি।

২৫৭ বলের ইনিংসে ছিলো ১৯টি চার। অপর দিকে কলিন ডি গ্র্যান্ড হোম ছিলেন আরও বিধ্বংসী। চার ছয় মেরে ৫৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭৬ রানে। কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিং বীরত্বেই আবার এই ভেন্যুর সর্বোচ্চ রানের দলীয় ইনিংসটিও গড়েছে নিউজিল্যান্ড।

প্রথম সেশনেই দ্রুত গতিতে রান তোলে তারা বিরতিতে যায় ৬ উইকেটে ৬০৫ রান তুলে। সেডন পার্কের তৃতীয় দিনটা সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন শুরুতে তুলে নেন ২০তম টেস্ট সেঞ্চুরি। বিরতির পর এই রান তোলার গতি বাড়তে থাকে।

দিনের শুরুতে অবশ্য পেসাররা পিচ থেকে ফায়দা নিতে পারলেও ব্যাটসম্যানদের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে নেইল ওয়াগনার খেলতে থাকেন হাত খুলে। বল হাতে বাংলাদেশকে ভোগানো এই পেসার ভুগিয়েছেন ব্যাট হাতেও। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান না হয়েও এক পর্যায়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটা করে ফেলেন ঝড়ো গতিতে রান তুলে। ৩৫ বলে ৪৭ করে ফেলা এই পেসারকে বিদায় দেন এবাদত। ওয়াগনারের উইকেটটি এবাদতের অভিষেক টেস্ট উইকেট। লিটন কুমারের হাতে ওয়াগনার ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬টি চার ও ৩টি ছয় মেরে। নাহলে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটির দেখা পেতেন।

অপর দিকে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন টেস্টে ৬০০০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সেঞ্চুরি তুলে। লাঞ্চ ব্রেকের আগে শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন বিজে ওয়াটলিংয়ের উইকেট।

ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ানো মিরাজ লিটনের গ্লাভসবন্দী করান ওয়াটলিংকে। তিনি ফেরেন ৩১ রানে। এরপরেই গ্র্যান্ড হোমকে সঙ্গে নিয়ে রানের পাহাড় গড়েন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। অথচ দ্বিতীয় দিনেই ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচটি স্লিপ থেকে সৌম্য সরকার নিতে পারলে পরিস্থিতি ভিন্ন কিছু হতে পারতো। একই ভাবে সৌম্যর কাছে জীবন পেয়েই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন টম ল্যাথাম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)