সাতক্ষীরায় স্বামী জিয়ার ঘর বহাল রাখতে চান ফেরদৌসী
রাজশাহীর তানোরের মেয়ে ফেরদৌসী খাতুন। সাতক্ষীরায় এসেছিলেন তালায় চাকুরিজীবী বোনের বাসায়। সেখানে বারুইআটির তাছলিমা খাতুনের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে সরকারি চাকুরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন ফেরদৌসী। আর এই প্রতিশ্রুতিদাতা তাছলিমার ভাই সরদার জিয়াউর রহমান তার কাছ থেকে নানা সময়ে হাতিয়ে নেন ১৪ লাখ টাকা। এখন সে চাকুরিও নেই, টাকাও ফেরত নেই। তাছাড়া নিজের সংসারও সে রাখছে না।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ফেরদৌসী। তিনি বলেন চাকুরি না দিয়ে টাল বাহানা করতে থাকেন সরদার জিয়াউর। এই দুর্বলতার সুযোগে জিয়াউর তাকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। পরে সাত লাখ টাকার দেনমোহরে জিয়াউর রহমানের সাথে ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর তালার তেতুলিয়া ইউপির দেওয়ানিপাড়ার বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজী শামসুল হুদার মাধমে ফেরদৌসির বিয়ে হয়। ঘর সংসার করাকালে তার গর্ভে সন্তান আসে। কিন্তু তিনি তাকে ওষুধ খাইয়ে তা নষ্ট করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে সরদার জিয়াউরের ছোট ভাই মশিয়ারের কাছে নালিশ জানাতে গেলে তিনি আমাকে তাড়িয়ে দেন। বলেন তার হাতে নাকি অনেক ক্ষমতা। বাড়াবাড়ি করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুম করে দেবেন। ফেরদৌসী থাকেন তালায় একটি ভাড়া বাড়িতে।
আক্ষেপ করে ফেরদৌসি বলেন স্বামী জিয়াউর রহমান তার ১৪ লাখ টাকা খেয়ে ফেলেছে। তার সব কিছু লুটেপুটে নিয়ে তাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে জিয়া। জিয়া এ যাবত ১১ টি বিয়ে করেছে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। সরদার জিয়া ১২ বছরের একটি শিশুরও ধর্ষক। সর্বশেষ জিয়া পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ তার বাড়ির রান্নার মহিলা সুমি আক্তারকে বিয়ে করেছে। এছাড়া তার আরও কয়েক স্ত্রীর নাম নাসরিন, সোনিয়া, মনিরা। এদের সবার সাথে সে প্রতারণা করেছে।
ফেরদৌসী বলেন জিয়াউর রহমান এখনও তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে তালা থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এর পর সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সুফল পাননি এখনও। ফেরদৌসী বলেন তিনি শাস্তি চান তার স্বামী জিয়াউর রহমান ও তার ভ্ইা মশিয়ার রহমানের। তাদের প্রতারনায় পড়ে অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তিনি কোথাও অভিযোগ করলে জিয়াউরের দুই ভাই মশিয়ার ও কবির তাতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। অথচ ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর তালা থানায় পুলিশ কর্মকর্তাাদের উপস্থিতিতে এক সালিশের মাধ্যমে সরদার কবির ও সরদার মশিয়ার বলেছিলেন ১০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে দেবেন। তারপর পার হয়েছে বহুদিন। কিন্তু সমাধান দুরের কথা তারা ফেরদৌসীকে বারবার হেনস্থা করে যাচ্ছে। এমনকি স্বামী জিয়াউরের বাকিতে নেওয়া দ্রব্য সামগ্রীর দোকানদারের প্রাপ্য ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা জিয়া না দেওয়ায় তারা দিনরাত চাপ দিচ্ছেন ফেরদৌসীর ওপর।
সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী বলেন তিনি স্বামীর ঘর বহাল রাখতে চান। এ বিষয়ে চান তিনি একটি স্থায়ী সমাধান। একই সাথে তাদের শাস্তিও চান ফেরদৌসী।