পাকিস্তানি পাইলটকে ভারতীয় মনে করে পিটিয়ে হত্যা
পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের এক পাইলটকে ভারতীয় মনে করে গণপিটুনিতে হত্যা করেছে পাকিস্তানের ক্ষুব্ধ জনতা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম কলকাতা ২৪ ও দ্যা আই উইটনেসে’র এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শাহাজউদ্দিন নামক ওই পাকিস্তানি উইং কমান্ডারকে ভুলবশত ভারতীয় মনে করেন পাকিস্তানিরা। কোনও কিছু বোঝার আগে শাহাজউদ্দিনকে গণধোলাই দিতে শুরু করেন। পরে তাদের ভুল ভাঙে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেড়ি হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান পাক বিমান বাহিনীর এই উইং কমান্ডার।
ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানিয়েছে, ভারতের আকাশসীমা উলঙ্ঘন করে দেশে ফিরে যাচ্ছিল পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলি। তারই একটি বিমানের ককপিটে ছিলেন শাহাজউদ্দিন। সেই সময় মিগ-২১ এ করে পাক যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করেন ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। শাহাজউদ্দিনের বিমানটিকে গুলি করে মাটিতে নামানোর চেষ্টা করেন। পরে অভিনন্দনের বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় তাকে পাকিস্তানের মাটিতে অবতরণ করতে হয়। সেই সময় তিনি ধরা পড়ে যান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে।
অন্যদিকে গুলি খেয়ে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হওয়া স্বত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একটি গ্রামে বিমানটিকে নিরাপদভাবে মাটিতে অবতরণ করান শাহাজউদ্দিন। এরপর বিমান থেকে বেরিয়ে আসার পর স্থানীয়রা তাকে ভারতীয় মনে করেন। তাকে দেখে প্রচন্ড মারমুখী হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। শাহাজউদ্দিনের দিকে তেড়ে আসেন এবং গণধোলাই দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। তবে পাকিস্তান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিনন্দনের মতো শাহাজউদ্দিনও মিলিটারি পরিবারের সন্তান। তার বাবা ওয়াসিম উদ্দিন পাক বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল ছিলেন। তিনিও এফ-১৬ ও মিরাজের মতো যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন। শাহাজউদ্দিনকে নিয়ে প্রথম খবরটি ফাঁস করেন লন্ডনের এক আইনজীবী খালিদ উমর। শাহাজউদ্দিনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে খবরটি পান তিনি।
এর আগে পাকিস্তানি সরকার জানিয়েছিল, এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পিছু নিতে নিতে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েন। দুই পাইলটকে তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পর ভুল সংশোধন করে জানায়, দু’জন নয় একজন তাদের হেফাজতে আছে। তবে দ্বিতীয়জনের পরিচয় নিয়ে কিছু জানাতে চাননি তারা।
20
